রাকসু ফান্ডে জমা ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, হল সংসদের ফান্ড অস্পষ্ট
Published: 14th, August 2025 GMT
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন না হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে রাকসু ও হল সংসদ বাবদ ফি নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে রাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ফান্ডের টাকার পরিমাণ নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে রাকসু ফান্ডে ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জমা আছে, যা ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) করা আছে। তবে হল সংসদ ফান্ডের টাকার পরিমাণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনগুলোর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাকসু কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
জবির ছাত্রী হলে মেডিকেল সেবা চালুর উদ্যোগ
ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি বহাল থাকবে: রাকিব
রাকসু নির্বাচনের ব্যয় এই ফান্ড থেকে নির্বাহ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাকসুর সভাপতি এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা কোনো বরাদ্দ দেবে, নাকি রাকসুর নিজস্ব ফান্ড থেকে খরচ করা হবে, তা পরে জানানো হবে। তবে কিছু আনুষঙ্গিক খরচ এরই মধ্যে রাকসু ফান্ড থেকে করা হচ্ছে।”
রাকসু ফান্ডের বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে নেওয়া হল সংসদ বাবদ ৩০ টাকার হিসাব নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শারমিন হামিদ বলেন, “আমাদের হল সংসদ ফান্ড আছে, তবে তার অবস্থা ভালো নয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর জেনেছি, এই ফান্ড থেকে প্রতি মাসের পত্রিকার বিল ও অন্যান্য কিছু খরচ দেওয়া হয়। এত বছরে অনেক টাকা থাকার কথা থাকলেও কেন নেই, তা আমি নিজেও জানি না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হিসাব চাইলে দিতে পারব।”
মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছামিউল সরকার বলেন, “শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হল সংসদ ফি থেকে আবাসিক হলের মাসিক পত্রিকার বিল পরিশোধ করা হয়ে থাকে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব রাকসু ও হল সংসদ ফান্ডের বিষয়ে বলেন, “রাকসু ফান্ডের টাকার বিষয়ে আমি অনেক আগেই গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে দিতে বলেছিলাম। আর হল সংসদ ফান্ডের হিসাব জানার অধিকার শিক্ষার্থীদের আছে। এ বিষয়ে আমি প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলব।”
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে