সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা–সম্মানী বাড়ল
Published: 14th, August 2025 GMT
সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা ও সম্মানী বেড়েছে। যাঁরা প্রশিক্ষণ দেবেন ও যাঁরা নেবেন, উভয়েরই ভাতা ও সম্মানী বাড়ল। তবে প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আর প্রশিক্ষকদের ভাতা বেড়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নতুন প্রজ্ঞাপন জারির পাশাপাশি ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর এবং দপ্তর আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য বক্তা সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতার হার পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
এখন থেকে বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মচারীরা এক ঘণ্টা ক্লাস নিলে ভাতা পাবেন ৩ হাজার ৬০০ টাকা, যা এত দিন ছিল ২ হাজার ৫০০ টাকা। আর চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড বা উপসচিব এবং তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা এত দিন পেতেন ২ হাজার টাকা, এখন থেকে পাবেন ৩ হাজার টাকা।
প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণে এত দিন গ্রেড-৯ থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মচারীরা প্রতিদিন প্রশিক্ষণ ভাতা পেতেন ৬০০ টাকা। নতুনভাবে এটিকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। গ্রেড-১০ থেকে তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীর প্রতিদিন প্রশিক্ষণ ভাতা ছিল ৫০০ টাকা। সেটিকে এখন বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে।
একইভাবে কোর্স পরিচালকের সম্মানী প্রতিদিনের জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা, কোর্স সমন্বয়কের সম্মানী প্রতিদিনের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং সাপোর্ট স্টাফদের সম্মানী ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, মাঠপর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য সদর দপ্তর থেকে আয়োজিত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন প্রযোজ্য হবে না। প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তিকাল দিনব্যাপী না হলে দুপুরের খাবার বাবদ কোনো ব্যয় করা যাবে না। প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও এই প্রজ্ঞাপন প্রযোজ্য হবে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নানা জটিলতার মধ্যে শনিবার নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন
অবশেষে নানা জটিলতার মধ্যেই শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
যদিও প্রার্থীদের দাবির মুখে ৭১ জনের মধ্যে ২৫ জন ভুয়া ভোটার বাতিল করা হয়েছে। বাকীরা রয়ে গেছে। সেই ভুয়া ভোটার নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে।
জানা যায়, বর্তমান কার্যকরী কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে কমিটির মেয়াদ ২ মাস বাড়িয়ে আগামি ২৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় নিয়ে আসে। সেই মোতাবেক ১১ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বিধি বিধান ছিল। ফলে ৯ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য্য ছিল।
কিন্তু ৭ আগস্ট দিবাগত রাতে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে আনিসুর রহমান সানি পদত্যাগ করেন। এতে করে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান। রাতেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে ৯ আগস্ট নির্বাচন হচ্ছে না।
কিন্তু পরদিন ৮ আগস্ট প্রার্থীরা নোটিশ বোর্ডে দেখতে পায় নির্বাচন বোর্ডের কমিশনার মো: স্বপন চৌধুরীকে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান করে ৯ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক রাখা হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে।
পরে ৮ আগস্ট সকালে বাদশা নামে একজন ভোটার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড বরাবর লিখিত আবেদন করেন। পরে ওইদিন বিকালে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী ৭দিন পিছিয়ে নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারন করে ১৬ আগস্ট।
এদিকে প্রার্থীদের দাবির মুখে ১৩ আগস্ট বর্তমান কার্যকরী কমিটি ৭১ জন ভুয়া ভোটারের মধ্যে ২৫ জন ভুয়া ভোটার বাতিল করেন। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি বিধান উপক্ষো করে ১৬ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানকে আইনসম্মতভাবে দেখছেন না প্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা।
এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১৬ আগস্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ বা অনুযোগ করেনি।