আঙুল সোজা করতে গিয়ে হঠাৎ বেঁকে বা লক হয়ে যেতে পারে। এটাকে বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম স্টেনোসিং টেনোসিনোভাইটিস।

আমাদের আঙুল বাঁকা বা সোজা করার কাজটি হয় টেনডন বা রশির মতো একটি বস্তুর মাধ্যমে। হাড়ের সঙ্গে ঘর্ষণ কমাতে কিছু ‘পুলি’–এর মধ্য দিয়ে চলে। এর একটি ‘এ ওয়ান’ পুলি। এটি ফুলে বা আঁটসাঁট হয়ে গেলে টেনডন সহজে নড়ানো যায় না।

এর ফলে আঙুল বাঁকানোর সময় আটকে যায় বা হঠাৎ ক্লিক দিয়ে সোজা হয়। এটাকেই বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার।

কেন হয়, লক্ষণ

দীর্ঘদিন কারও ডায়াবেটিস থাকলে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা (হাইপোথাইরয়ডিজম), হাতের অতিরিক্ত ব্যবহার—যেমন গ্রিপ করে কাজ করা, হাতুড়ি, কাঁচি ইত্যাদির কারণে এটা হয়ে থাকে। এটি বেশি হয় নারীদের। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সে এটা বেশি হতে দেখা যায়।

সকালের দিকে আঙুল শক্ত হয়ে থাকা বা সোজা হতে না চাইলে বুঝবেন ট্রিগার ফিঙ্গার হয়েছে। এ ছাড়া আঙুল বাঁকিয়ে ছেড়ে দিলে আটকে যায় বা ক্লিক শব্দ দিয়ে সোজা হওয়া, আঙুলের নিচের তালুর গোড়ার দিকে ব্যথা, আবার কখনো কখনো আঙুল একদম ‘লক’ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন৮ বছর আগে যেমন ছিল সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র, দেখুন ২০টি ছবি৭ ঘণ্টা আগেকরণীয় ও চিকিৎসা

বারবার শক্তভাবে কিছু ধরা বা চেপে ধরার মতো কাজ কমাতে হবে।

ভারী জিনিস তোলা, ঝাড়ু দেওয়া, হাতুড়ি ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

একটানা কোনো কাজ না করে মাঝেমধ্যে হাত বিশ্রামে রাখা।

ঘুমের সময় হাত মোড়ানো অবস্থায় না রেখে খোলা রাখতে চেষ্টা করা।

কলম বা হাতলের ওপর হালকা গ্রিপ ব্যবহার করা।

আরও পড়ুনআইপিএস ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার ৫টি কার্যকর উপায়৫ ঘণ্টা আগে

আঙুল সোজা করে রাখার জন্য ফিঙ্গার স্প্লিন্ট বা ওভাল ৮ স্প্লিন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে টেনডনে চাপ কমে এবং বেশ আরামও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফিজিক্যাল থেরাপি বা মেশিন থেরাপি দেওয়া যায়। যেমন প্রদাহ কমাতে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, ব্যথা কমাতে টেনস থেরাপি এবং প্রদাহ–ব্যথা কমাতে  ক্রায়োথেরাপি অর্থাৎ বরফ সেঁক বেশ কার্যকর।

ব্যথানাশক ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। যদি ওপরের সব ব্যবস্থা তিন থেকে ছয় মাসে কাজে না আসে, তখন পারকিউটেনিয়াস রিলিজ বা ওপেন সার্জারির মাধ্যমে ‘এ ওয়ান’ পুলি কেটে দেওয়া হয়।

আঙুলের ব্যায়াম

আঙুলের ব্যায়াম বেশ কার্যকর। থেরাপিস্টের মাধ্যমে বা নিজে নিজে ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন ধীরে ধীরে আঙুল নাড়ানো, টেনডন গ্লাইডিং, থেরাপিউটিক পুটি বা বল ব্যবহার করে গ্রিপ শক্তিশালী করা, ব্যথা না বাড়লে ধীরে ধীরে ফ্লেক্সন-এক্সটেনশন ব্যায়াম শুরু করা যায়।

ডা.

সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনসারা টেন্ডুলকারই কি ভাই অর্জুনের বিয়ের ঘটক? বিস্তারিত জানুন ছবিতে ছবিতে১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

পিঠ চাপড়ে দিব‍্যকে আদর করে দিলেন আমির খান

বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’কে সামনে পেয়ে কার না হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়! অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের রাস্তায় এমনই এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তের মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের তরুণ অভিনেতা দিব্য জ্যোতি। স্বপ্নের নায়ক আমির খানের সঙ্গে পরিচয়, প্রাণখোলা আলাপ, আর শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজের কথা শুনে পিঠ চাপড়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন তিনি—যা দিব্যর শিল্পীজীবনের স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সামাজিক মাধ্যমে আমির খানের সঙ্গে দিব্য জ্যোতির একটি ছবি শেয়ার করেছেন শাহনাজ খুশি।

সেই ছবিতে দেখা যায়, আমির খানের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দিব্য। কাঁধে ব্যাগ, পরনে শার্টের ওপরে ফুল স্লিভ সোয়েটার। এদিকে আমির খানের পরনে কালো কুর্তা, সাদা পাজামা।

আরো পড়ুন:

এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে

গান হলো কিন্তু সংসারটা ঠিকমতো হলো না অলকার

স্বপ্নের নায়ককে কাছে পেয়ে কথা বলেছেন, ছবি তোলারও সুযোগ হাতছাড়া করেননি দিব্য। শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‌‍‍‍‍"অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে রাস্তায় দিব‍্যর স্বপ্নের নায়ক আমির খানের সাথে হঠাৎ দেখা! অতঃপর বাংলাদেশের অভিনেতা হিসাবে পরিচয় দেওয়া, কথা বলা।"

ভারতের নন্দিত পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় কাজের সুযোগ হয়েছে দিব্যর। সে কথা শোনার পর ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ অন্যরকম আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বলেও জানালেন খুশি।

শাহনাজ খুশি লিখেছেন, "মুম্বাইয়ে শ্যাম বেনেগাল স্যারের সাথে কাজের কথা শুনে অত‍্যন্ত আন্তরিকভাব দেখিয়েছেন আমির খান। সেই সঙ্গে দিব্যর পিঠ চাপড়ে আদর করে দিয়েছেন! কারণ, বেনেগাল স্যারের অতিশয় ভক্ত এবং তার জন্য গর্বিতও আমির খানও।"

শেষে তিনি লিখেছেন, "অচেনা-অখ‍্যাত একজন শিল্পীর প্রতি আমির খানের মতো একজন শিল্পীর এমন বিনয় নিঃশ্চয় দিব‍্যর জন্যও শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।"

নাট্যকার-অভিনেতা বৃন্দাবন দাস ও অভিনেত্রী শাহনাজ খুশির জমজ দুই সন্তান। একজনের নাম সৌম্য জ্যোতি, অন্যজন দিব্য জ্যোতি। পড়াশোনার পাশাপাশি তারা এখন নাটক, ওটিটি ও সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। মা-বাবার মতো হয়ে উঠেছেন শোবিজের প্রিয়মুখ।

ঢাকা/রাহাত/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ