বুয়েট ৪৬ শিক্ষক নেবে স্থায়ী-অস্থায়ী পদে, করুন আবেদন
Published: 15th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন চলছে। দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি ১৪ বিভাগে প্রভাষক, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক পদে ৪৬ শিক্ষক নিয়োগ দেবে। গত ২৩ জুলাই প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ ১৭ আগস্ট পর্যন্ত।
পদের নাম ও বর্ণনা—১. ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
(ক) সহযোগী অধ্যাপক, ১টি স্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা
(খ) সহকারী অধ্যাপক, ৩টি পদ (১টি স্থায়ী এবং সহযোগী অধ্যাপকের বিপরীতে ২টি অস্থায়ী পদ)। বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা
(গ) লেকচারার, ২টি অস্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
২.
বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ
(ক) সহকারী অধ্যাপক, ১টি স্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা
(খ) লেকচারার, ১টি অস্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
আরও পড়ুনপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭০০০ শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি চাকরিবিধি চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই১২ আগস্ট ২০২৫৩. স্থাপত্য বিভাগ
সহকারী অধ্যাপক, ৩টি অস্থায়ী পদ (সহযোগী অধ্যাপক পদের বিপরীতে)। বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।
৪. ন্যানোম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
(ক) সহকারী অধ্যাপক, ১টি স্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা
(খ) লেকচারার, ২টি অস্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
৫. ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি
* গবেষণা সহকারী অধ্যাপকের (ইঞ্জিনিয়ারিং) ১টি অস্থায়ী পদ (সহযোগী অধ্যাপক পদের বিপরীতে)। বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা
৬. তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ
* লেকচারার, ৩টি অস্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
৭. পুরকৌশল বিভাগ
* লেকচারার, ৬টি অস্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
৮। কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
* লেকচারার, ৮টি অস্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
আরও পড়ুনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি, স্বাস্থ্য সহকারীসহ ৫ পদে নেবে ২১০১১ আগস্ট ২০২৫প্রথম আলো ফাইল ছবিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘বাইরের’ অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখলেন স্থানীয় চালকেরা, ধস্তাধস্তির মধ্যেই নবজাতকের মৃত্যু
শরীয়তপুরে একটি রোগী বহন করা অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা যাওয়ার পথে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন চালকের বিরুদ্ধে। এ কারণে চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা এক নবজাতক মারা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে একটি ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া নবজাতক ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এলাকার নূর হোসেন সরদার ও রুমা বেগম দম্পতির সন্তান। গতকাল দুপুরে শহরের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পরই শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
শিশুর স্বজনেরা জানান, গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁরা ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রওনা হন। কিন্তু পথিমধ্যে চৌরঙ্গী মোড়ে স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্সচালক সবুজ দেওয়ান তাঁদের অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেন। স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার না করার কারণ দেখিয়ে তিনি চালককে মারধর করেন ও চাবি নিয়ে নেন। আরও কয়েকজন স্থানীয় চালক এ ঘটনায় অংশ নেন। দীর্ঘক্ষণ তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তির মধ্যে চিকিৎসা না পেয়ে নবজাতক মারা যায়।
শিশুটির নানি সেফালী বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। অল্প খরচে ঢাকায় যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করি। কিন্তু স্থানীয় আরেক চালক বাধা দেয়। তারা দাবি করে, বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে যেতে হবে। আমার নাতি চিকিৎসা পায়নি, মারা গেছে। সন্তান জন্মের পর আমার মেয়ে অচেতন হয়ে আছে। তার জ্ঞান ফিরলে কীভাবে খবরটি দেব?’
ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সের চালক মোশারফ মিয়া বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে শরীয়তপুরে এসেছিলাম। ফেরার পথে হাসপাতালের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শিশুর স্বজনেরা আমার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন। রওনা হওয়ার পর সবুজ বাধা দেয়, আমাকে মারধর করে চাবি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেয়।’
ঘটনার পর সবুজ দেওয়ান ও তাঁর সহযোগীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শরীয়তপুর অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালক সমিতির সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘চৌরঙ্গীতে অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ার কথা শুনে তাদের বলেছিলাম রোগীসহ ছেড়ে দিতে। কিন্তু তারা শোনেনি। এই কাজটি সঠিক হয়নি।’
শিশু বিশেষজ্ঞ খাজা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিকেলে যখন নবজাতককে দেখেছিলাম, তখনই বেশ কিছু সমস্যা ধরা পড়ে। ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপরাধ।’
জানতে চাইলে সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’