‘গত দুই সপ্তাহে দুইবার শঙ্খের ইলিশ কিনেছি। একেবারে টাটকা ইলিশ। মাঝেমধ্যে জীবিত ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে। বাজারের ইলিশের চেয়ে এর স্বাদ বেশি।’—কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা মো. এস্তাক উদ্দিন।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার মধ্যবর্তী শঙ্খ নদের পাড়ে গত সোমবার কথা হয় এস্তাক উদ্দিনের সঙ্গে। তাঁর হাতে তখন দুই কেজি ইলিশ। এস্তাক উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শঙ্খ নদে জেলেদের জালে ধরা পড়া ইলিশ কিনতে এসেছেন। দামও বাজারের চেয়ে তুলনামূলক কম। ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বড় আকারের ছয়টি ইলিশ কিনেছেন তিনি।

অবশ্য শুধু এস্তাক উদ্দিন নয়। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মতো অনেকেই শঙ্খ নদের ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন রোজ। আবার কেউ ডিঙিনৌকায় উঠে সদ্য ধরা জীবিত ইলিশও কিনে নিচ্ছেন। প্রায় এক মাস ধরেই দেখা মিলছে এই চিত্রের। স্থানীয় মাছের বাজারেও বেড়েছে ক্রেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আনোয়ারার বরুমচড়া কানু মাঝির হাট, বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ ফেরিঘাট ও সেতুর আশপাশ, জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের লামার বাজার ও খুরুস্কুল এলাকায় নৌকা নিয়ে জাল ফেলছেন জেলেরা। এসব জেলেরা সাধারণত ছোট মাছ শিকার করেন। এখন নদ থেকে নিয়মিত ইলিশ ধরছেন তাঁরা। জোয়ার এলে দিনে দুইবার তাঁরা জাল ফেলেন। প্রতিদিন গড়ে একেক জেলে চার থেকে পাঁচ কেজি ইলিশ পাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আনোয়ারার বরুমচড়া কানু মাঝির হাট, বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ ফেরিঘাট ও সেতুর আশপাশ, জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের লামার বাজার ও খুরুস্কুল এলাকায় নৌকা নিয়ে জাল ফেলছেন জেলেরা। এসব জেলে সাধারণত ছোট মাছ শিকার করেন। এখন নদ থেকে নিয়মিত ইলিশ ধরছেন তাঁরা। জোয়ার এলে দিনে দুইবার তাঁরা জাল ফেলেন। প্রতিদিন  একেক জেলে চার থেকে পাঁচ কেজি ইলিশ পাচ্ছেন।

বরুমচড়া কানু মাঝির হাট এলাকার বাসিন্দা মো.

পেয়ারু প্রথম আলোকে বলেন, আগে বাজার থেকে ইলিশ কিনতাম। এখন নদের টাটকা ইলিশ কিনছি। সাগরের এই সুস্বাদের মাছ শঙ্খ নদে চলে এসেছে, দেখতেই ভালো লাগছে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, কেজিতে চার থেকে পাঁচটি ওঠে এমন ইলিশ তাঁরা ছয় থেকে সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর দুটিতে কেজি হয় এমন বড় ইলিশ মিলছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা বিক্রি করছেন। নিজেদের নৌকা আর জাল থাকায় সংসারেও সচ্ছলতা ফিরেছে। দৈনিক প্রতি জেলের দুই থেকে তিন হাজার টাকা আয় হচ্ছে।

শঙ্খ নদে ছোট নৌকায় করে মাছ ধরছেন দুই জেলে। সম্প্রতি নদের বারখাইন এলাকা থেকে তোলা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এআই নিয়ে টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সতর্কবার্তা

১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমা দেখেছেন অনেকেই। জেমস ক্যামেরনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সেই সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির স্কাইনেট নামের একটি কাল্পনিক এআইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি পুরো মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। কাল্পনিক সেই এআইয়ের স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন এবার বাস্তবের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি লাগামহীনভাবে সামরিক প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে মানবসভ্যতা টার্মিনেটরের মতো সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে।

রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানান, সামরিক ক্ষেত্রে এআইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। মানবজাতি এখন একসঙ্গে তিনটি বড় সংকটের মুখে। এগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং অতিবুদ্ধিমান এআই। এই তিনটি সংকট একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করছে, যা মানব ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এআই পারমাণবিক বিপর্যয়ের সমতুল্য দুর্যোগ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ৩৬ শতাংশ এআই গবেষক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগির এআই ও পারমাণবিক অস্ত্রের সমন্বয় প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

যুদ্ধাস্ত্রে এআই ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণে এর সীমিত ও পরিকল্পিত ব্যবহারকে সমর্থন করেন ক্যামেরন। তার মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারে। এআই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার গতি বাড়ালেও চিত্রনাট্যকার বা অভিনেতার জায়গা নিতে পারবে না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ