ফুটবল দলবিহীন শেষ দেশ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহাসিক অভিষেক
Published: 15th, August 2025 GMT
বিশ্বে ফুটবল দলবিহীন শেষ দেশ হিসেবে পরিচিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ অবশেষে ইতিহাস গড়ল। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের আর্কানসাস অঙ্গরাজ্যের স্প্রিংডেলে প্রথমবারের মতো ১১ জনের আনুষ্ঠানিক ফুটবল ম্যাচ খেলতে নামল তারা। প্রতিপক্ষ ছিল ইউএস ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ। যদিও অভিষেক ম্যাচে ৪-০ ব্যবধানে হার মেনেছে প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্রটি।
এই ম্যাচ ছিল আউটরিগার কাপ মিনি-টুর্নামেন্টের প্রথম খেলা। দ্বীপপুঞ্জের নিজ দেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে স্থানীয় মার্শালিজ প্রবাসীরা বিপুল উৎসাহে সমর্থন জানায়। এটি ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। কারণ, বিশ্বের অন্য কিছু দেশ এখনও ফিফা অনুমোদিত ম্যাচ খেলেনি। আর মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ছিল একমাত্র দেশ যারা কখনও ১১ জনের পূর্ণাঙ্গ ফুটবল ম্যাচই খেলেনি। জনসংখ্যা ৪০ হাজারেরও কম এই দেশটি এখন বড় স্বপ্ন দেখছে ‘ফিফা ও ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশনের (ওএফসি)’ এর স্বীকৃতি পাওয়ার।
দলের প্রধান কোচ লয়েড ওয়ার্স আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, “আমরা যখন শুরু করেছিলাম, তখন এটা শুধু কল্পনা ছিল। আজ আমরা বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রথমবার ১১ বনাম ১১ খেলছি। এটা অবিশ্বাস্য। আমরা শিশুদের খেলার সুযোগ, প্রাপ্তবয়স্কদের কোচিংয়ের সুযোগ, সবকিছু ধাপে ধাপে গড়ে তুলেছি। এবার আমরা দেশের হয়ে লড়াই করতে চাই এবং ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে গর্বিত হতে চাই।”
আরো পড়ুন:
বিয়ের আগেই রোনালদো-জর্জিনার বিচ্ছেদ চুক্তি
সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনার দুই ম্যাচ, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আরও দুই
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে আগে কখনও ফুটবল জনপ্রিয় হয়নি। জায়গার অভাব, প্রশিক্ষক সংকট এবং খেলাটির প্রতি অনাগ্রহ; সব মিলিয়ে বাস্কেটবলই ছিল সবার প্রথম পছন্দ। এর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকিও বড় সমস্যা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেশের গড় উচ্চতা মাত্র দুই মিটার। যা তাদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। তাই ফুটবলকেও তারা ব্যবহার করতে চায় নিজেদের দুরবস্থা বিশ্বকে জানাতে।
আগামী সপ্তাহে দলটি গুয়াম ও টার্কস অ্যান্ড কাইকোস দ্বীপপুঞ্জের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ম র শ ল দ ব পপ ঞ জ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
জিৎ যেভাবে সিনেমায় এলেন
‘‘সিনেমায় আসার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। বিল্ডিং ম্যাটারিয়ালস সাপ্লাইয়ে কাজ করতাম। আমার ছোট-খাটো একটা ব্যবসাও ছিলো। আর টুক-টাক মডেলিং করেছিলাম। এই করতে করতে বন্ধুরা ইন্সপায়ার করলো। ওরা বললো, বম্বে চলে যাও। এরপর বম্বে গেলাম । কিছু কমার্শিয়াল অ্যাড, মিউজিক ভিডিও করলাম। এরপর টলিউডে ‘সাথী’ হলো। তারপরে সব বদলে গেলো। তার মাঝখানে বন্ধুদের সামনে ছোট-খাটো মিমিক্রি করতে থাকতাম। কখনও রাজেশ খান্নার মতো ডান্স করতাম, আবার কখনও অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠ নকল করতাম। এখন যখন ভাবি তখন রিলেট করতে পারি, ওই কারণগুলো ছিলো বলেই আজ আমি সিনেমায়। এছাড়া সম্ভব হতো না।’’ – কথাগুলো বলছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ।
রচনা ব্যানার্জির উপস্থাপনায় ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ অনুষ্ঠানে এসে এই স্বীকারোক্তি দেন জিৎ।
সম্প্রতি জিৎ যুক্ত হয়েছেন জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’ সিনেমায়।
আরো পড়ুন:
সেলিম আল দীন স্মরণে ঢাকা থিয়েটার ও গ্রাম থিয়েটারের নাট্যোৎসব
ধূমকেতুর জন্য রাজের প্রতীক্ষা শেষ
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, ‘‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অন্যতম নায়ক অনন্ত সিংহ। তার জীবনী অবলম্বনে সিনেমা পরিচালনা করছেন পথিকৃৎ বসু। সিনেমার নাম ‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’। নতুন এই সিনেমায় অভিনয় করবেন জিৎ।
লিপি