বরিশালে আ.লীগের মশাল মিছিল থেকে আটক ৪
Published: 22nd, September 2025 GMT
বরিশাল শহরে মশাল মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ)। মিছিল থেকে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার নিকে বরিশাল শহরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক এলাকায় আকস্মিকভাবে মশাল মিছিল বের করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডের কাছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভবনের সামনে থেকে আকস্মিকভাবে মশাল মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এমন স্লোগান দেন। তারা প্রধান উপদেষ্টা ড.
আটকৃ ব্যক্তিরা হলেন— বরিশাল শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাদাৎ হোসেন, দক্ষিণ চহটা গ্রামের মো. জাকির হোসেন, বানারীপাড়ার চাখার এলাকার সজিব হাওলাদার এবং বাইশালী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামের মো. শাহীন শেখ।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন সিকদার বলেছেন, মিছিল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের ৫ আগেস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতদিন বরিশালে তাদের মিছিল করতে দেখা যায়নি।
ঢাকা/পলাশ/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ রজনক বর শ ল ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা রাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র: ছাত্রদল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলনে শিক্ষকদের হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, শিক্ষকেরা একটি ছাত্রসংগঠনের গুপ্ত নেতা–কর্মীদের দ্বারা এই ন্যক্কারজনক হামলা ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এ হামলার ঘটনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
আরও পড়ুনসহ-উপাচার্যকে আটকে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি৪ ঘণ্টা আগেআজ বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিপ্রক্রিয়ায় পোষ্য কোটা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও সমতা নিশ্চিতকরণের পথে একটি বড় বাধা হয়ে আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোটা পুনর্বহালের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তাভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত। এর মাধ্যমে নিতান্তই বঞ্চনা ও বৈষম্য তৈরি হবে। ভর্তিপ্রক্রিয়ায় মেধাই হওয়া উচিত একমাত্র মানদণ্ড। তবে যেকোনো প্রতিবাদের ভাষাই গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা অবিলম্বে বাতিল এবং শিক্ষকদের ওপর হামলার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতা। বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকেরা একটি ছাত্রসংগঠনের গুপ্ত নেতা–কর্মীদের দ্বারা আজ যে ন্যক্কারজনক হামলা ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এটা রীতিমতো অভূতপূর্ব। আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের গায়ে এভাবে হাত তোলা ও হামলার বিষয়টি কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মনে করি, আজকের এই হামলার ঘটনাটি রাকসু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।’