পরীমণির পার্টিতে গিয়ে প্রসূনের ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা
Published: 6th, November 2025 GMT
জন্মদিন উপলক্ষে টানা উৎসবের মেজাজে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। মালয়েশিয়া সফর শেষে ঢাকায় ফিরেই রাজধানীর পল্লবীতে সাংবাদিক ও সহকর্মীদের জন্য পার্টির আয়োজন করেন এই অভিনেত্রী। তার দাওয়াতে পার্টিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন লাক্স তারকা অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রসূন আজাদ তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লেখার শুরুতে এ অভিনেত্রী বলেন, “পরীমণি মানুষদের দাওয়াত দেয়, মানুষজন যায়। যাওয়ার পর অনেকগুলা সান্ডা-পান্ডা লোক দাঁড়ায় থাকে। যারা আপনার হাঁটার রাস্তা আটকে জিজ্ঞেস করবে, “আপনি কে?”
আরো পড়ুন:
প্রশ্ন করবেন না, সব বলে দেব: পরীমণি
আমার বাচ্চার দাদা-দাদিও কী এক্স হয়ে গিয়েছেন, প্রশ্ন পরীমণির
পরামর্শ দিয়ে প্রসূন আজাদ বলেন, “পরীমণি হয়তো নিজেও জানে না, তার নাম রৌশন করতে যতলোক সে টাকা খরচ করে রেখেছে, তারা প্রত্যেকেই তার গেস্টদের মূলত অপমান করার জন্যই কাজ করছে। এই সান্ডাদের কালো রঙের গেঞ্জি এবং প্যান্ট না পরিয়ে হাতে একটা কাগজ-কলম ধরিয়ে দিলে বরং খরচা কম হতো। সাথে আগত অতিথিদেরও অসম্মান হতো না। কাউকে জিজ্ঞেস করার আগে একটা গেস্ট লিস্ট রাখা প্রয়োজন।”
দুঃখবোধ থেকে পরীমণির উদ্দেশ্যে প্রসূন আজাদ বলেন, “আমি মিডিয়ার কারো দাওয়াতে যাই না। মেট্রোতে করে রিক্সা করে প্রচুর ধকল পেরিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ সে আমার পছন্দের মানুষ। পরী তুমি আমাকে লোক দেখানো পার্টিতে ডেকে এদের দিয়ে না জিজ্ঞেস করালেও পারতে, আমি কে?”
পরীমণির দাওয়াতে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন প্রসূন আজাদ। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “যেকোনো অনুষ্ঠানে যাওয়া বাচ্চাদের ম্যানেজমেন্ট, একজন গৃহিণীর জন্য এটা খুব সহজ কাজ না। আমি কে এটা নিয়ে কথা বলার মতো মানুষ আমি এখনো হতে পারি নাই। তাই তোমার সান্ডা-পান্ডাদের নিজের নামটা বলতে পারি নাই। কিন্তু আমি এসেছিলাম এবং চলে গেছি। আবার অন্য কোনো সময়, অন্য কোথাও দেখা হবে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর মন ট ভ ন টক চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস
সোনারগাঁ উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও তিনটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে পিরোজপুর ইকোনমিক জোনের গেটের পশ্চিম পাশে একটি, পূর্ব পাশে একটি এবং ঝাউচর তানভীর পেপার মিলের বিপরীত পাশে একটি মোট তিনটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রায় ২০০ চুলার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা এবং তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার (প্রকৌশলী) রবিউল আওয়াল।
অভিযানে সহযোগিতা করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম।
কারখানাগুলোর স্থাপনা এক্সক্যাভেটর মেশিনের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানির স্প্রে করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে চুন বিনষ্ট করা হয়।
তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়,“সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। যেখানেই অবৈধ সংযোগ পাওয়া যাবে, সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।”