আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার ‘বডি ক্যামেরা’ কেনা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক–বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের এই ক্যামেরা লাগবে। এ প্রস্তাব আমরা অনুমোদন করেছি। দ্রুত এসব যন্ত্রপাতি আনতে হবে।’

এই বডি ক্যামেরা আনতে কত টাকা খরচ হবে, তা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘খরচের বিষয়টি এখন নাই বললাম। নির্দিষ্ট করে এখন বলতে পারব না। এটা সংগ্রহ করা হবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মাধ্যমে। দরপত্র আহ্বান করে আনতে গেলে মান ও দামের বিষয় থাকে। এখন ইউএনডিপি মান ও দামের নিশ্চয়তা দেবে।’

এসব বডি ক্যামেরা কিনতে অর্থায়ন কে করছে, তা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের টাকায় এই ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন খাতের ব্যয় থেকে এটা মেটানো হবে। আমরা পুলিশকে দিচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকে নয়। নির্বাচনের জন্য যা যা দরকার, সেটার কোনো কমতি হবে না।’

টাকা দেবে সরকার, তাহলে ইউএনডিপির মাধ্যমে কেন কেনা হবে? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘টাকা দেবে সরকার, কিন্তু কিনতে হবে বেসরকারি খাত থেকে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ইউএনডিপির মাধ্যমে কেনা হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউএনড প র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরি সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ জাতিসংঘে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে কোনো কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ঢাকা দপ্তরে পাঠানো চিঠির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জাতিসংঘকে দেওয়া আওয়ামী লীগের এ ধরনের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়’ এমন নির্বাচনে সহযোগিতা থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়ে ১ নভেম্বর বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধিকে চিঠি পাঠান আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি ওই চিঠির অনুলিপি জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদসহ জাতিসংঘের কাজে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় দিয়েছেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না আওয়ামী লীগের। জাতিসংঘে পাঠানো দলটির ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা জাতিসংঘ এবং ইউএনডিপির প্রতি নির্বাচনী সহযোগিতা স্থগিতের আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে জাতীয় সংলাপ ও সমঝোতাকে উৎসাহিত করার এবং যেকোনো নির্বাচনী সম্পৃক্ততার মূল ভিত্তি হিসেবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনী সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ সনদের নিরপেক্ষতা, রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মৌলিক অধিকারের মূলনীতি লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ’ শিরোনামে ইউএনডিপিকে চিঠি পাঠায় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনী সহযোগিতা, ব্যালট প্রজেক্ট এবং আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার বিষয়ে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলকও নয়, বিশ্বাসযোগ্যও নয়। এ ধরনের সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের মূলনীতি এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসারের ক্ষেত্রে ইউএনডিপির ম্যান্ডেট লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে।’

প্রসঙ্গত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য হবে কি না, এ প্রশ্ন তোলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন