ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরি সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ জাতিসংঘে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে কোনো কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ঢাকা দপ্তরে পাঠানো চিঠির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জাতিসংঘকে দেওয়া আওয়ামী লীগের এ ধরনের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়’ এমন নির্বাচনে সহযোগিতা থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়ে ১ নভেম্বর বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধিকে চিঠি পাঠান আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি ওই চিঠির অনুলিপি জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদসহ জাতিসংঘের কাজে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় দিয়েছেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না আওয়ামী লীগের। জাতিসংঘে পাঠানো দলটির ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা জাতিসংঘ এবং ইউএনডিপির প্রতি নির্বাচনী সহযোগিতা স্থগিতের আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে জাতীয় সংলাপ ও সমঝোতাকে উৎসাহিত করার এবং যেকোনো নির্বাচনী সম্পৃক্ততার মূল ভিত্তি হিসেবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনী সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ সনদের নিরপেক্ষতা, রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মৌলিক অধিকারের মূলনীতি লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ’ শিরোনামে ইউএনডিপিকে চিঠি পাঠায় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনী সহযোগিতা, ব্যালট প্রজেক্ট এবং আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার বিষয়ে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলকও নয়, বিশ্বাসযোগ্যও নয়। এ ধরনের সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের মূলনীতি এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসারের ক্ষেত্রে ইউএনডিপির ম্যান্ডেট লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে।’

প্রসঙ্গত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য হবে কি না, এ প্রশ্ন তোলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অভিযোগ রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউএনড প র সহয গ ত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরি সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ জাতিসংঘে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে কোনো কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ঢাকা দপ্তরে পাঠানো চিঠির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জাতিসংঘকে দেওয়া আওয়ামী লীগের এ ধরনের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়’ এমন নির্বাচনে সহযোগিতা থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়ে ১ নভেম্বর বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধিকে চিঠি পাঠান আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি ওই চিঠির অনুলিপি জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদসহ জাতিসংঘের কাজে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় দিয়েছেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না আওয়ামী লীগের। জাতিসংঘে পাঠানো দলটির ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা জাতিসংঘ এবং ইউএনডিপির প্রতি নির্বাচনী সহযোগিতা স্থগিতের আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে জাতীয় সংলাপ ও সমঝোতাকে উৎসাহিত করার এবং যেকোনো নির্বাচনী সম্পৃক্ততার মূল ভিত্তি হিসেবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনী সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ সনদের নিরপেক্ষতা, রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মৌলিক অধিকারের মূলনীতি লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ’ শিরোনামে ইউএনডিপিকে চিঠি পাঠায় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনী সহযোগিতা, ব্যালট প্রজেক্ট এবং আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার বিষয়ে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলকও নয়, বিশ্বাসযোগ্যও নয়। এ ধরনের সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের মূলনীতি এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসারের ক্ষেত্রে ইউএনডিপির ম্যান্ডেট লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে।’

প্রসঙ্গত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য হবে কি না, এ প্রশ্ন তোলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ