জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত দেয়ারওয়ার্ল্ডের বার্ষিক হাই-লেভেল গ্লোবাল এডুকেশন ডিনারে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের এক হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তাকে ‘আনলক বিগ চেঞ্জ’ পুরস্কার দেওয়া হয়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিক্ষার প্রসারে তার আজীবন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং দেয়ারওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সারা ব্রাউন।

আরো পড়ুন:

কুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৫৫ শিক্ষার্থী

ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬৫ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

পুরস্কার প্রদানকালে গর্ডন ব্রাউন ইউনূসকে অভিহিত করেন একজন বৈশ্বিক পথপ্রদর্শক হিসেবে। তিনি বলেন, “গত ৫০ বছরে বেসরকারি খাতে কোনো প্রকল্পই মানুষের দারিদ্র্য মুক্তিতে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অবদান রাখেনি।”

পুরস্কার গ্রহণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “ঋণ মানুষের একটি মৌলিক অধিকার, যা খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতোই জরুরি।”

তিনি আরো বলেন, “আপনি যদি আর্থিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দেন, তবে আর কোনো মানুষ গরিব থাকবে না। আমি ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে শিক্ষা যুক্ত করেছি, যাতে নারীরা নিশ্চিত করতে পারেন তাদের সন্তানরা স্কুলে যায়।”

তিনি শিক্ষার প্রচলিত ধারা ভেঙে সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা হওয়ার শিক্ষা প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শিশুদের দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি এমন জায়গা হওয়া উচিত যেখানে শিক্ষার্থীরা ব্যবসাকে কল্যাণের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে মানবসমস্যা সমাধান করতে শিখবে।”

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডিকেও সম্মাননা জানানো হয়।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র অন ষ ঠ ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

‘সালাম বম্বে!’, থেকে ‘মুনসুন ওয়েডিং’, মামদানির মাকে কতটা চেনেন

নিউইয়র্ক শহরের নবনির্বাচিত মেয়র হয়েছেন জোহরান মামদানি। তাঁর মেয়র হওয়ার পেছনে বাঙালি ভোটারদের যে অবদান ছিল, সেটা মামদানির জেতার খবরের বিজয় মিছিলেই দেখা গেছে। ‘আমার মেয়র-তোমার মেয়র, মামদানি-মামদানি’, ‘নিউইয়র্কের মেয়র, মামদানি-মামদানি’, ‘শ্রমিক শ্রেণির মেয়র, মামদানি-মামদানি’—এসব স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল কুইন্সের জ্যামাইকা শহর। তবে বাঙালি ভোটারদের মন জেতার পেছনের তাঁর একটা বাংলা প্রচারণার ভিডিও-ও ভূমিকা রেখেছে বলা যায়। লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনের বাঙালি কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে তাঁর বাংলায় কথোপকথন নজর কেড়েছে অনেকেরই। তাঁর সাবলীল কথা বলার ভঙ্গিতেই বোঝা যাচ্ছিল বাংলার ওপরও তাঁর দখল আছে বেশ। তবে মামদানির এই বাংলাপ্রীতি শুধু ভোট টানার জন্য ছিল না। এখানে রয়েছে তাঁর মায়ের অবদান। মামদানির মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিখ্যাত চিত্রপরিচালক মীরা নায়ার। সন্তান মেয়র হওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় এই নির্মাতা।

শুরুর গল্প
১৯৫৭ সালের ১৫ অক্টোবর মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশায়। বেড়ে উঠেছেন ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে। ভুবনেশ্বরের উত্তর-পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ হওয়ায় সেখানের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ বাঙালি। মীরা নায়ারের বন্ধুবান্ধব যেমন বাঙালি ছিল, তেমনি তিনি ছোটবেলায় গানও শিখেছেন এক বাঙালি শিক্ষকের কাছে। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য, থিয়েটার ও সমাজবিজ্ঞানে গভীর আগ্রহী ছিলেন।

মীরা নায়ার। রয়টার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডেমোক্র্যাটরা সাবধান! ট্রাম্প প্রতিশোধের ছক কষছেন
  • আমার সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামদানি
  • নিউইয়র্কের মেয়রের নতুন ঠিকানা কি গ্রেসি ম্যানশন
  • এক কক্ষের বাড়ি থেকে ‘রাজপ্রাসাদে’
  • জোহরান মামদানি কেন নিজ এলাকা কুইন্সে কম ভোট পেলেন
  • কারো চোখে পানি, ফেলছেন স্বস্তির শ্বাস: মামদানির জয়ে কী বললেন গার্ডিয়ানের পাঠকেরা
  • যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা ম্লান হলো মাত্র দুই দিনেই
  • মামদানি একই সঙ্গে ভারতের গর্ব, আবার মোদির মতো নেতাদের কঠোর সমালোচক
  • ‘মামদানি মডেল’ কি নিউইয়র্কের বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে
  • ‘সালাম বম্বে!’, থেকে ‘মুনসুন ওয়েডিং’, মামদানির মাকে কতটা চেনেন