Prothomalo:
2025-10-03@01:20:27 GMT

ফিলিস্তিনি কবিতা সবার পড়া উচিত

Published: 26th, September 2025 GMT

সম্প্রতি ‘জেরুজালেম’ নামের একটি রান্নার বই পড়তে গিয়ে ভূমিকায় বইটার সহলেখকদের একটি পর্যবেক্ষণ দেখে অভিভূত হয়েছি। বইটির একজন শেফ ইসরায়েলি, অন্যজন ফিলিস্তিনি। ইয়োতাম অটোলেঙ্গি ও সামি তামিমি লিখেছেন, জেরুজালেমে ‘মনে হয় খাবারই একমাত্র সংযোগকারী শক্তি’। মানে এ কারণেই শহরটাকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই দেশ রাজধানী হিসেবে দাবি করে। তাদের রান্নার ঐতিহ্যের ইতিহাস সরল নয়। তবু এই শেফরা খাবার তৈরিকে মনে করেন একটি অনন্য মানবিক কাজ। একটা না–বলা ভাষার মতো, যা এমন দুজনের ভেতরে সংক্রমিত হয়ে পড়ে, যারা অন্যথায় শত্রু হতে পারত।

মধ্যপ্রাচ্যের খবরের আপডেট না ঘেঁটে আমার তাই ‘জেরুজালেম’ বইটা ওলটাতে ভালো লাগছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মূলধারার গণমাধ্যমের মার্কিন কভারেজ, এমনকি বাস্তব জীবনের আলাপচারিতাও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ ও হারানো প্রাণগুলোকে বিমূর্ত করে ফেলছে। এমনিতেও যখনই কর্মক্ষেত্রে বা বন্ধুদের আলোচনায় গাজার নিত্যদিনের মানবিক সংকটের কথা আসে, আমি চুপচাপ উঠে চলে যাই। কারণ, মৃত্যুকে আড্ডার বিষয় করতে ভালো লাগে না। আমি নিজেও ফিলিস্তিনি অভিবাসীর সন্তান, গাজায় আমার পরিবারের সদস্যরা থাকেন। কিন্তু আমি ফিলিস্তিনের কষ্টের মুখপাত্র হতে চাই না।

ফিলিস্তিনের সহিংসতার পাঠ আমাকে যত ব্যথা আর হতাশা দিক, কবিতা তেমন নয়। কবিতা আমাকে সেই ভূমির বিস্ময় ও জটিলতার গভীরে নিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনি কবিতা ভাগাভাগি করা মানুষের সংখ্যা যেভাবে হু হু করে বাড়ছে, তাতে বোঝা যায়, শুধু আমি নই, বিশ্বজুড়ে পাঠকদের জন্যও তা সত্য।

কিন্তু ফিলিস্তিনের সহিংসতার পাঠ আমাকে যত ব্যথা আর হতাশা দিক, কবিতা তেমন নয়। কবিতা আমাকে সেই ভূমির বিস্ময় ও জটিলতার গভীরে নিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনি কবিতা ভাগাভাগি করা মানুষের সংখ্যা যেভাবে হু হু করে বাড়ছে, তাতে বোঝা যায়, শুধু আমি নই, বিশ্বজুড়ে পাঠকদের জন্যও তা সত্য। মাহমুদ দারবিশ, মুসআব আবু তোহা, লেনা খালাফ তুফফাহা এবং অন্য ফিলিস্তিনি কবিদের কবিতা টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্সে (সাবেক টুইটার) ভাইরাল হচ্ছে, অজস্র শেয়ার হচ্ছে। টিকটকে #palestinianpoetry হ্যাশট্যাগের ভিউ ২ লাখ ৬ হাজারের বেশি, আর #mahmouddarwishpoetry-এর ভিউ ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি। পোয়েট্রি ফাউন্ডেশন ও একাডেমি অব আমেরিকান পোয়েটস ফিলিস্তিনি কবিদের কাজ শেয়ার করছে, আমার পরিবার ও আমার পরিচিত লোকজনের সাহিত্য চক্রের অসংখ্য পোস্টের কথা নাই–বা বললাম।

আমি নিজে কবি বলে ধারণা করি, কবিতার জনপ্রিয়তা বাড়ার অনেক কারণ আছে। কবিতা বিভ্রান্তি ও কষ্ট প্রকাশ করতে পারে এ কারণেই যে কবিতা কোনো সমস্যা সমাধানের মাধ্যম নয়। কবিতা কেবল মানবতাকে উৎসর্গ করতে, রাজনৈতিক খবরের আড়াল ভেদ করতে এবং ঐতিহাসিক উত্তেজনার মুহূর্তকে স্মরণীয়, শেয়ারযোগ্য পঙ্‌ক্তি রচনা করতে পারে। একটা পঙ্‌ক্তি কবিতার পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখায় না, কেবল একটা ঝলক দেখায়। সেই কবিতায় যদি কোনো যুক্তি থাকেও এ ধরনের লাইন পুরো কবিতার যুক্তিকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে সেই কয়েকটি সযত্নে বাছাই করা শব্দে কবিতা এমন বিদ্যুৎ সৃষ্টি করতে পারে, যা পাঠকের মনে আকাঙ্ক্ষা জাগায় আর পুঁতে দেয় কৌতূহল, ব্যথা ও সহানুভূতি। এ মুহূর্তে এমন কবিতার সঙ্গেই পাঠকদের যুক্ত করা সবচেয়ে জরুরি, যা উপর্যুক্ত আবেগের জন্ম দেয়।

ফিলিস্তিনি কবি নুর হিন্দি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ