অতীতের বিতর্কিত কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্বে নয়: ইসি আনোয়ার
Published: 26th, September 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, “অতীতের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনগুলোতে যেসব কর্মকর্তা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের আগামীতে কোনো নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের অংশ হিসেবে এই কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে।”
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটু হল অডিটোরিয়ামে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
চাপের কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে সাহস পাচ্ছে না ইসি
প্রবাসীদের ভোটের অ্যাপ উদ্বোধন নভেম্বরে
জামায়াতের পিআর পদ্ধতি দাবি এবং এনসিপির প্রতীক বরাদ্দের মতো বিষয়গুলো আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এসব বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।”
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “কমিশন বিদ্যমান আইনের আওতায় তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং আগামীতেও করবে। আইন যেভাবে আছে, সে অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।”
নিবিড় নজরদারিতে থাকবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র:
নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপের কথা জানিয়ে ইসি বলেন, “নির্বাচনের সময় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে মোবাইল কোর্ট, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি টিম, পর্যবেক্ষক টিমসহ বিশেষ মোবাইল অ্যাপস।”
তিনি বলেন, “কোথাও সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সমাধানের ব্যবস্থা থাকবে।”
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “কর্মকর্তারা কোনো ব্যক্তির কাছে নয়, আইনের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা চাই, প্রিজাইডিং অফিসাররা টিম লিডারের মতো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ পরিচালনা করবেন। আপনাদের প্রয়োজন ও সমস্যাগুলো নির্দ্বিধায় আমাদের জানাতে পারেন।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিস আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম আলী নেওয়াজ, জেলা প্রশাসক মো.
ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস ইস ইস কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে