মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন স্বস্তিকা দত্ত। তারপর টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে বড় পর্দায় পা রেখে নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। আপাতত পূজার আনন্দে দিন পার করছেন স্বস্তিকা। 

পূজাকে কেন্দ্র করে অনেকের জীবনে প্রেম এসেছে। অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তরও কী তেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে? এ প্রশ্ন রাখা হয় এই অভিনেত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, “পূজার সময়ে প্রেম হওয়ার অভিজ্ঞতা আমার জীবনে নেই। তবে ভালো লাগা বা ইনফ্র্যাচুয়েশনটা তো আলাদা। তবে জীবনে একবারই আমি সিরিয়াস প্রেম করেছি।” 

আরো পড়ুন:

গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন পাকিস্তানি অভিনেতা ফাহাদ?

‘এদের চেনা বয়সের ভিড়ে মাকে খুঁজছিলাম, না কি অদূর ভবিষ্যতের আমাকে?’

তবে কার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তা জানাননি স্বস্তিকা দত্ত। তবে প্রাক্তনকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেশ কিছু বিষয় সামনে এনেছেন। স্বস্তিকা বলেন, “প্রাক্তন শব্দটা আমার কাছে শুধুই ‘প্রাক্তন’। মানে অতীত যা ছেড়ে এসেছি। প্রেম ছিল, আজ আর সেটা নেই। কিন্তু এ নিয়ে কুৎসা করব এমন মানুষ আমি নই। এই অধ্যায়টাকে আমি আমার জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাই না। কারণ ওটাই জীবনের অন্যতম শিক্ষা। একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, কিছু কিছু ভুল জীবনে খুব প্রয়োজন।”

খানিকটা ব্যাখ্যা করে স্বস্তিকা দত্ত বলেন, “আসলে ওই অধ্যায়টা নিয়ে কথা বলতে গেলে একটা কথাই বলব, আমি কিন্তু ক্ষমা করতে পারি না। শুধু ঘটনাগুলোকে ভুলে যেতে চাই। এটা বলতে গিয়ে আমার চোখে এক ফোঁটা জলও আসছে না, বুকে ব্যথা করছে না।”

স্বস্তিকা এখন আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। এ তথ্য উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “যে দুজন মানুষ দুজনকে ভালোবেসেছে, তারা একসঙ্গে আছে, আমি তাতেই খুশি। জীবনের ঘটনাক্রম আমার কতটা ক্ষতি করেছে তা জানি না। শুধু বলব, আমার সবার সঙ্গে কমিউনিকেশনের ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছে। বিশ্বাস করা তো দূরের কথা।” 

পূজা মানেই ভরপুর খাবার-দাবার। ডায়েট ভুলে কবজি ডুবিয়ে খেয়ে থাকেন সবাই। স্বস্তিকাও কী তাই করবেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি কোনো দিনই ফুডি নই। মায়ের হাতের রান্না খেতে ভালোবাসি। সারা বছর আলাদা করে কড়া ডায়েটে থাকি, তেমনটা কিন্তু নয়। শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে আমাকে এমনিতেই ফুড হ্যাবিট মেইনটেন করতে হয়। সেটাও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই।” 

নিজে রান্নার পরিকল্পনা করেছেন স্বস্তিকা। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “তবে পূজার চারটি দিন মাকে রান্নাঘরে ঢুকতে দিতে চাই না। কারণ সারা বছর আমার বাড়িতে কোনো হাউজ হেল্পার থাকে না, মা সবকিছু নিজে হাতে করেন। আর এই কটা দিন বাইরের খাওয়া–দাওয়াও করি, কিন্তু সেটা একটা নিয়ম মেনে।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র স বস ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

ভূমিকম্প প্রতিরোধী স্থাপনায় গুরুত্ব দিন 

ভূমিকম্প প্রতিরোধে গুণগত মানসম্পন্ন ইস্পাতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি ইস্পাতের পরিবর্তে নিম্নমানের ইস্পাত ব্যবহার করলে ভূমিকম্পের সময় ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে জিপিএইচ ইস্পাতের সহযোগিতায় প্রথম আলো আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বক্তারা।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব আহসান বলেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন তৈরি করতে গেলে ম্যাটেরিয়াল (উপাদান) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের সময় নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়েছে, সেখানে নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে।

রাকিব আহসান মানসম্পন্ন ইস্পাতের ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো ভালো মানের রড তৈরি করছে। বিএসটিআই প্রণীত যে স্ট্যান্ডার্ড আর আমাদের ডিজাইন কোডের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা আছে। বিএসটিআই যে নতুন স্ট্রেংথ গ্রেডের রডের স্পেসিফিকেশন দিয়েছে, তা আমাদের বিল্ডিং কোডে এখনো অন্তর্ভুক্ত বা রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ নেই। এ জন্য বিল্ডিং কোডের হালনাগাদকরণ দরকার।’

আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যে রি–বারগুলো এসেছে, সেগুলো অন্যান্য দেশের আপডেটেড বিল্ডিং কোডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে রাকিব আহসান বলেন, ভূমিকম্পের সময় ইস্পাতের ডাক্টিলিটি (নমনীয়তা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকম্পের সময় ইস্পাত যত বেশি সম্প্রসারিত হতে পারে, তত ভালো। ভবনের যে অংশগুলো আর্থকোয়াক ফোর্সটা নেয় (ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি যে অংশে বেশি পড়ে) সেগুলো হলো কলাম, বিম। এখানে ব্যবহৃত রডের শ্রেণি হতে হবে ডাক্টিলিটি–ডি। এ ক্লাসটা সবচেয়ে বেশি আর্থকোয়াক ফোর্স নিতে পারে।

বুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম বলেন, ‘ভবন নির্মাণ করার সময় খরচ বাঁচানোর চেষ্টায় নির্মাণসামগ্রীর মান নিম্নগামী হয়। ময়মনসিংহ শহরে আমরা ১২টি ভবন স্টাডি করে দেখেছি, তার মধ্যে ১১টি ভবন মান যাচাইয়ে ব্যর্থ। প্রচুর ভবন ওখানে ঝুঁকির মধ্যে আছে।’

বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন করার মতো কোনো মেকানিজম আমাদের এখনো তৈরি হয়নি জানিয়ে ইশরাত ইসলাম বলেন, ‘এটা যত দিন না তৈরি হবে, তত দিন আমরা মানসম্পন্ন ভবন নিশ্চিত করতে পারব না।’

বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ফখরুল আমিন বলেন, যাঁর ভবন তাঁর দায়িত্ব বেশি। তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারের পরিকল্পনা ও জনগণের ধারণার মধ্যে যে দূরত্ব আছে, সেটি কমাতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, অন্যান্য সংকট মোকাবিলায় সরকার যে ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকে, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রেও একই প্রস্তুতি সরকার নিয়েছে। ভবন নির্মাণ বিধিমালা ও অন্যান্য যেসব নীতি রয়েছে, তা সবাইকে মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।

'বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ