প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও অনেক নেতাই গোপনে আমাদের ধন্যবাদ দেন: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু
Published: 26th, September 2025 GMT
বিভিন্ন দেশের নেতারা জনসমক্ষে ইসরায়েলের সমালোচনা করলেও গোপনে তাঁদের কাছে প্রশংসা করেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আজ শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সেশনের প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বনেতাদের ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই এ ভাষণ দেন তিনি।
নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার জন্য মঞ্চে গেলে প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশনকক্ষ ত্যাগ করেন অনেক দেশের প্রতিনিধিরা। ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ইসরায়েলের মিত্রদেশগুলোও সমালোচনা বাড়িয়েছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো দেশগুলো।
ভাষণে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ভেতরে–ভেতরে ঠিকই জানেন, ইসরায়েল আসলে আপনাদের জন্যই লড়াই করছে।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘প্রকাশ্যে আমাদের নিন্দা করলেও অনেক নেতাই গোপনে আমাদের ধন্যবাদ দেন। তাঁরা আমাকে এসে ইসরায়েলের গোয়েন্দা পরিষেবা কতটা চমৎকার, সেটা বলেন; যা বারবার তাঁদের রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকিয়েছে, অগণিত জীবন বাঁচিয়েছে।’
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের সক্ষমতা কমলেও তারা হুমকি হয়ে আছে। তারা ৭ অক্টোবরের নৃশংসতা পুনরাবৃত্তির ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুনবিশ্বের সবচেয়ে বেশি অঙ্গচ্ছেদের শিকার শিশুর স্থান এখন গাজা: ইউএনআরডব্লিউএ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় ওয়াক আউট করলে অধিবেশনের অনেক আসন খালি থাকে। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে