কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একটি বিলে অবৈধ কারেন্ট জাল পেতে বক ধরছিলেন একদল শিকারি। পরে তাঁদের কাছ থেকে ৬০টি সাদা বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে উখিয়া বন বিভাগের রেঞ্জের অধীনে সদর বনবিটের রাজাপালং ইউনিয়নের মাসকারিয়া বিল এলাকা থেকে এসব বক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি।

প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মন্নান। তিনি বলেন, গতকাল দুপুরে মাসকারিয়া বিল এলাকার ধানখেতে কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে রাখেন শিকারিরা। সেখানে আটকা পড়ে অন্তত ৬০টি সাদা বক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। টের পেয়ে শিকারিরা পালিয়ে গেলেও বকগুলো উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যার আগে আগে প্রাকৃতিক পরিবেশে বকগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, শীতের আবহ শুরু হওয়ায় শিকারিরা প্রায় প্রতিদিনই ফাঁদ পেতে এসব বক ধরেন। সেগুলোর প্রতিটি বাজারে ৫০-৬০ টাকা হারে বিক্রি হয়।

উখিয়া বন বিভাগের ওই কর্মকর্তা জানান, বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জেল কিংবা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডই হতে পারে। একই অপরাধ আবার করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও আছে। কোনো ব্যক্তি অতিথি পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ বা দখলে রাখলে অথবা বেচাকেনা করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ