মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশের কনডেনসেট (অপরিশোধিত তেল) পাইপলাইনের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বশির মিয়া (৫৪) এবং গত রাত ৩টার দিকে তার ছেলে রেজোয়ান মিয়া (২১) রাজধানীর জাতীয় বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আরো পড়ুন:

সিলেটে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

জুলাই আন্দোলনে কারাবরণকারী সাজিদ আর নেই

এ ঘটনায় দগ্ধ বশির মিয়ার স্ত্রী ফারজানা আক্তার পারভীনের অবস্থায়ও আশঙ্কাজনক। মৃত বাবা-ছেলে উপজেলার ভুনভীর ইউনিয়নের শাসন ইলামপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াহিদ তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভুনভীর ইউনিয়নের শাসন ইলাম পাড়ায় শেভরনের কনডেনসেট পাইপলাইনে দুর্বৃত্তদের অবৈধ ছিদ্রের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের তিন জন দগ্ধ হন।

ঢাকা/আজিজ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‌‌পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”

আরো পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি

এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী

ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”

তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ