নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম আশিকুল ইসলাম ওরফে তিতাস (২৫)। স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে পুলিশ তরুণের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

এর আগে আজ বেলা দুইটার দিকে মাইজদী বাজারের বিবি কনভেনশন হল নামের বাণিজ্যিক ভবনের আটতলার ছাদ থেকে নিচে পড়ার পর আশপাশের লোকজন আশিকুলকে ‍উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আশিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজিপুরে। তিনি পরিবারের সঙ্গে মাইজদী বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ বলছে, মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা। আর স্বজনদের দাবি, ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত আশিকুলের মামা আবদুল্লা আল জোবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, একই বাড়ির চাচাতো বোনের ছেলে আশিকুল ইসলাম নোয়াখালী সরকারি কলেজে স্নাতক সম্মান শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আজ সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে মাইজদী বাজারের বিবি কনভেনশন হলের ভবনে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুও ছিলেন। বেলা দুইটার দিকে ওই ভবনের আটতলা থেকে তাঁর ভাগনেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর আশপাশের লোকজন ভবনের সামনে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভাগনেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জোবায়ের। তিনি বলেন, ওই ভবনে ব্যাংক ও বিমার কার্যালয়সহ বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেই বেরিয়ে আসবে তাঁর ভাগনের মৃত্যুর আসল কারণ। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান জোবায়ের।

সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে মাইজদী বাজার এলাকার একটি আটতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ার পর এক তরুণকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে তাঁরা হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো অজানা। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ইজদ ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ