Risingbd:
2025-11-17@06:13:40 GMT

রাশিয়ার পথে পথে (শেষ পর্ব)

Published: 28th, September 2025 GMT

রাশিয়ার পথে পথে (শেষ পর্ব)

মেট্রো স্টেশন থেকে বের হয়েই দেখি রাস্তার ওপাশে অসামান্য সুন্দর বিশাল একটা গীর্জা! আমি গীর্জার সৌন্দর্য দেখে স্থান, কাল, পাত্র ভুলে গেলাম। কাঁধে ব্যাকপ্যাক নিয়ে রাস্তা পার হয়ে গীর্জার সামনে এলাম। 

এত চওড়া রাস্তা এ শহরে তা কি আমি জানতাম! আর গীর্জা, সেও তো কম বড় নয়। গীর্জার আকারও প্রথাগত নয়। এমন আকার আমি আগে দেখিনি। অর্ধ বৃত্তাকার গীর্জার সামনের বারান্দায় সারি সারি স্তম্ভ আর ঠিক মাঝখানে সবুজ রঙের একটি ডোম বা গম্বুজ। গীর্জার সামনে সবুজ রঙের বড় একটা বাগান। বাগানের মাঝে জলের ফোয়ারা। আমার মনে পড়ল গতকালই এই গীর্জা সম্পর্কে পড়ছিলাম। নাম ‘কাযান ক্যাথিড্রাল’। কাযান ক্যাথিড্রাল আমার হোটেল থেকে এত কাছে তাহলে! 

কাযান ক্যাথিড্রালের সামনে এখন দু’জন ছেলে ভায়োলিন বাজিয়ে সামনে মানুষের জটলাকে আমোদ দানের চেষ্টা করছে। আনেক দূর থেকে ভায়োলিনের মিষ্টি সুর শোনা যাচ্ছে। আমি এই ভায়োলিনের সুর শুনেই এখানে চলে এসেছি। মেঘলা আকাশ, বাতাস বইছে, কাযান ক্যাথিড্রাল, ভায়োলিনের সুর, মুগ্ধ দর্শক সব মিলিয়ে এক অপার্থিব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। 

ভায়োলিন বাজনো শেষ না হওয়া অবধি আমি সেখানেই রইলাম। আধঘণ্টা পর যখন এই ওপেন এয়ার কনসার্ট শেষ হলো তখন আর মনে নেই আমার হোটেল যেন কোথায়। ভেরোনিকা দেখিয়ে দিয়েছিল কিন্তু আমি বোধহয় পথ হারিয়ে ফেলেছি বা ঠিক পথেই যাচ্ছি। কাযান ক্যাথিড্রালের পেছনের পথ ধরে এগোতে গিয়ে দেখি এই পথের পাশ দিয়ে ক্যানেল চলে গিয়েছে বহুদূর। ক্যানেলে বোট চলছে, ট্যুরিস্টরা তাতে বসে আছে। আর ক্যানেলের দু’পাশের রাস্তাজুড়ে দিয়েছে সরু একটা সেতু। এই ক্যানেল আসলে ময়কা নদীর একটা শাখা।

আমি একপাশের রাস্তা ধরে ধরে অনেকখানি এগিয়ে এলাম। এখন ম্যাপের তোয়াক্কা করছি না, কারণ এদেশে গুগল ম্যাপ কাজ করে না। রাশিয়ান ম্যাপের মাথামুণ্ড আমি বুঝি না। এখন মনে হচ্ছে ঝেঁপে বৃষ্টি আসবে। সামনের রাস্তায় কেউ নেই। একটা ছেলে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে। এটি বোধহয় বেকারির গলি৷ নিচু, চোরা দরজা দিয়ে দেখি একজন ঢুকে গেল। আমি সামনে দাঁড়ানো ছেলেটাকে পাকড়াও করলাম। হোটেলের ঠিকানা দেখিয়ে বললাম, ‘কীভাবে যাব?’ ছেলেটি ম্যাপ দেখে বলল, ‘এই হোটেল তো কাযান ক্যাথিড্রাল পার হয়ে রাস্তার উল্টো পাশে। তুমি উল্টো দিকে এসেছ।’ ভায়োলিনের সুরে এতোই মুগ্ধ হয়েছিলাম যে পথ হারিয়ে ফেলেছি। এখন বুঝতে পারছি, হ্যামিলনের বাঁশির সুরে সব কেন পেছনে ছুটেছিল। 

আমি উল্টো পথে আবার চললাম। রাস্তা পার হয়ে ভেরোনিকার কথা মনে হলো, ও তো এই রাস্তার বাঁ পাশের গলি ধরে যেতে বলেছে আর এখনেও একটা গীর্জা আছে। আমার হোটেল গীর্জার পেছনে। আমি গীর্জার পেছনে গিয়ে দেখি একটার পর একটা গলি। কোন গলিতে যে হোটেল কে জানে। এমন সময় আকাশ ভেদ করে বৃষ্টি নামল। আমি সেখানেই রাজপ্রাসাদের তোরণের মতো একটা তোরণের নিচে আশ্রয় নিলাম। আমার সাথে আরও কয়েকটা ছেলেমেয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মাঝে একটি মেয়েকে ঠিকানা জিজ্ঞেস করতেই মেয়েটি বৃষ্টিতে নেমে কয়েক কদম এগিয়ে দেখে এল আমার হোটেল। এসে আমাকে নিয়ে দেখিয়ে দিল। অপরিচিত এই মেয়েটিকে আমি ধন্যবাদ জানানোর আগেই বৃষ্টির মধ্যে মিলিয়ে গেল। রাশিয়ানরা এত নম্র-ভদ্র অতিথিপরায়ণ যে গতকাল থেকেই তার প্রমাণ পেয়ে যাচ্ছি৷ 

হোটেলে গিয়ে চেক ইন করে বাইরে দেখি এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। আমার রুমে দেয়ালজুড়ে জানালা। চওড়া জানালায় বসার জন্য গদি দেওয়া আছে। আমি এরকম জানালা খুব পছন্দ করি। কফি হাতে বসে বসে বৃষ্টি দেখা যায়। 

পরদিন আক্ষরিক অর্থে সেইন্ট পিটার্সবার্গে আমার দ্বিতীয় দিন। আমি আজ হেঁটে হেঁটে শহর দেখব। ম্যাপে দেখলাম দর্শনীয় সব জায়গাগুলো এখান থেকে হাঁটা দূরত্বের মধ্যে। সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরের বয়স এখন ৩২২ বছর। ১৭০৩ সালে জার সম্রাট পিটার দা গ্রেট এই শহরের পত্তন ঘটান। সাধু পিটার বা সেইন্ট পিটারের নামানুসারে শহরটির নামকরণ করা হয়। আর সেসময় থেকেই শহরটি ইউরোপের খাতায় অত্যাধুনিক শহর হিসেবে নাম লেখায়। শুধু তাই নয়, সেইন্ট পিটার্সবার্গকে রাশিয়ার শিল্প সাহিত্যের রাজধানীও বলা হয়। 

আমি কাযান ক্যাথিড্রালের উল্টোদিকের পথ ধরে চলে আসলাম রাজপ্রাসাদের কাছে। বিশাল জায়গাজুড়ে রাজপ্রাসাদ এবং এর আশেপাশে অন্যান্য প্রাসাদ ছিল। এখন সেগুলো বিভিন্ন মিউজিয়াম, আর্ট গ্যালারি, হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জার সম্রাটদের মূল রাজপ্রাসাদ মিউজিয়াম করে খুলে দেওয়া হয়েছে জনসাধারণের জন্য। আর এর সামনের পথের সৌন্দর্যের জুড়ি মেলা ভার! বড় বড় গাছের সারি, কবলস্টোনের পথ, ফুটপাতে ফুলবাগান, সামনে সবুজ পার্ক। কি ছেড়ে যে কি দেখি! 

আমার হোটেলের পেছনের দিকে ভুবন ভোলানো রূপকথার মতো এক জগৎ! এর পুরোটাই একসময় রাজপ্রাসাদের অংশ ছিল। এখন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। আমার সামনের মিখাইলোভস্কি প্রাসাদ এখন রাশিয়ান আর্ট মিউজিয়াম। আর পাশেরটি একটি হোটেল। আমি আবার উল্টো ঘুরে কাযান ক্যাথিড্রালের দিকে চললাম। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে মূল রাজপ্রাসাদের দিকে চললাম। কাযান ক্যাথিড্রালের সামনে এখন অনেক মানুষ ভিড় করেছে। ফুটপাতেও অনেক মানুষ হাঁটছে। কিন্তু কেউ চেঁচিয়ে কথা বলছে না বা ধাক্কাধাক্কি করছে না। সবাই অতি নম্র, ভদ্র। 

রাজপ্রাসাদে যেতে হলে একটা ক্যানেলের পাশ দিয়ে যেতে হয়। ক্যানেলের দু’পাশে রাজপ্রাসাদের বর্ধিত অংশ। মাঝখানের সেতুটি রাজকীয় ভঙ্গিতে সংযুক্ত করেছে রাজপ্রাসাদকে। এই ক্যানেল পার হয়ে আরেকটু সামনেই একটা গলিতে সারি সারি স্যুভেনিয়র শপ, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি। বুঝতে বাকি রইলো না এই পথ ধরে এগোলেই রাজপ্রাসাদ। তবে তারচেয়েও বেশি আশ্চর্য হয়েছি রেস্তোরাঁ, স্যুভেনিয়র শপের সাথে সারি সারি বইয়ের দোকান দেখে। রাশিয়ানরা বইয়ের দোকানে ভিড় করেছে দেখে ভালো লাগল৷ শুধু খাওয়া, আমোদ ফুর্তি, ঘোরাফেরা এরা করে না, এরা বইও পড়ে। 

বইয়ের দোকানগুলো ফেলে সামনে এগুলেই বিশাল একটা তোরণ। তোরণের আগাগোড়া কারুকাজ করা। এই তোরণ দেখেই বুঝে গেলাম মূল রাজপ্রাসাদে এসে গিয়েছি। প্রাসাদের নাম আর্মিতাশ প্রাসাদ। তোরণ পার হলে একইরকম আরেকটা তোরণ। এরপর বড় একটা খোলা জায়গা। এখন অনেক মানুষ জমায়েত হয়েছে। এই খোলা জায়গাকে বলা হয় প্রাসাদ চত্বর। এরপর প্রাসাদের মূল প্রবেশপথ। প্রাসাদটি হালকা প্যাসেল রঙের। দীর্ঘ প্রাসাদের বাইরে থেকে অনেকগুলো জানালা আর দেয়ালে যোদ্ধাদের ভাস্কর্য দেখা যাচ্ছে। মজার বিষয় হলো- এই প্রাসাদটি কোনো জার সম্রাটের প্রাসাদ ছিল না। এটি ছিল জারিনা বা সম্রাজ্ঞীর প্রাসাদ। 

ক্যাথরিন দা গ্রেট ১৭৬২ সালে স্বামী পিটারকে সিংহাসন থেকে হটিয়ে নিজেই রাজ্যের মুকুট পরে নেন। আর সে মুকুট সাম্রাজ্ঞীর মাথায় অটুট থাকে তাঁর মৃত্যু অবধি। প্রায় ৩৪ বছর সাম্রাজ্য সামলেছিলেন ক্যাথরিন দা গ্রেট। অন্যান্য জার সম্রাটদের চেয়ে বেশি দক্ষতার সাথেই সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছেন। তাঁর সময়ে রাশিয়ায় শিল্পসাহিত্য ও বিজ্ঞানের প্রসার ঘটে। এবং তিনিই ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদি সাম্রাজ্ঞী ছিলেন। 

ক্যাথরিন দা গ্রেট নিজের বসবাসের জন্য পূর্বের প্রাসাদের জায়গায় আর্মিতাশ প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। যে প্রাসাদে কক্ষ রয়েছে ১৫০০ টি। স্বর্ণ, রূপা, আইভোরি ম্যালাকাইট ও অন্যান্য দামী উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছিল প্রাসাদ। যা রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ রাজপ্রাসাদ। আর্মিতাশ প্রাসাদের সামনে এখন জার ও জারিনা ঘুরে বেড়াচ্ছে মানে রাজকীয় পোশাক পরে কয়েকটি ছেলেমেয়ে ঘুরছে। এদের এভাবে সাজিয়ে বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর ট্যুরিস্ট আকৃষ্ট করে। আমি ভাবলাম হঠাৎ করে যদি এখন সত্যিকারের জার, জারিনা আমার সামনে এসে হাজির হয় তাহলে কেমন হবে! (শেষ)

তারা//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ইন ট প ট র আম র হ ট ল প র হয় র জন য র স মন স মন র

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালিকে হারিয়ে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে নরওয়ে

আরলিং হালান্ড যেন নিজেই ইতিহাস লিখে চলেছেন। দুই মিনিটের ব্যবধানে তার দুর্দান্ত দুই গোল ইতালিকে সান সিরোতে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে নরওয়েকে নিয়ে গেল ১৯৯৮ সালের পর তাদের প্রথম বিশ্বকাপে। ম্যানচেস্টার সিটির এই সুপারস্টারের গ্রুপপর্বে গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৬। যা পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানদোভস্কির রেকর্ডের সমান।

‘গ্রুপ–আই’ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোয়ালিফাই করতে নরওয়ের সামনে ছিল শুধু গণিতের হিসাব মেলানোর অপেক্ষা। তাদের বাদ দিতে ইতালির দরকার ছিল অবাস্তব এক নয় গোলের ব্যবধান। যা মাঠে সম্ভব হয়নি। তাই দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বমঞ্চে ফিরতে যাচ্ছে নরওয়ে। আত্মবিশ্বাসও আকাশছোঁয়া।

আরো পড়ুন:

আসিফের মন্তব্যে বাফুফের কাছে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ

অদম্য স্পেন বিশ্বকাপের দোরগোড়ায়

গত জুনে ইতালিকে ৩–০ গোলে হারানো ম্যাচটাই শেষ পর্যন্ত লুচিয়ানো স্পালেত্তির চাকরি শেষ করে দেয়। তার উত্তরসূরি জেনারো গাত্তুসো এবার প্লে-অফের প্রস্তুতি নেবেন।

গাত্তুসো তার সেরা খেলোয়াড়দেরই দলে ফেরান। মোলদোভার বিপক্ষে খেলা দলে কেবল জিয়ানলুকা মানচিনি টিকে থাকেন। অন্যদিকে নরওয়ের একমাত্র পরিবর্তন, এস্তোনিয়ার বিপক্ষে খেলা অস্কার ববের জায়গায় নামেন ক্রিস্টিয়ান থরস্টভেট।

প্রথমার্ধজুড়ে ইতালি ছিল আধিপত্যে। ফেদেরিকো দিমারকোর ভলিটি সামান্য বাইরে গেলে ১১তম মিনিটে আলো ছড়ান মাত্র ২০ বছর বয়সী ফ্রানচেস্কো পিও এসপোসিতো। দুর্দান্ত টার্ন আর নিখুঁত ফিনিশ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটাকে আরও উজ্জ্বল করে তোলেন তিনি।

এরপর এসপোসিতো আরেকটি হেড বাইরে পাঠালেও দুই দলই তেমন পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। মাঝপথে রেফারির সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে গাত্তুসো কার্ডও দেখেন।

বিরতির পর যেন নতুন উদ্যমে মাঠে নামে নরওয়ে। আলেকজান্ডার সর্লোথের শট বার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। এরপর চুলের অনন্য সাজে পরিচিত জুলিয়ান রাইয়েরসনও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।

অবশেষে ৬৩তম মিনিটে গোল মেলে। সর্লোথের পাস থেকে দারুণ ড্রাইভে দূর কোণে বল পাঠান আন্তোনিও নুসা। জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা নিকটের পোস্টে চেষ্টা করেও আটকাতে পারেননি।

এরপর নুসার আরেকটি নিশ্চিত গোল দোনারুম্মা ঠেকালেও ম্যাচের মঞ্চ তখন তৈরি হালান্ডের জন্য। মানচিনির ঘন পাহারা ভেদ করেই তিনি নিজের ছন্দ খুঁজে নেন।

৭৮ মিনিটে বদলি নেমে চমৎকার ফুটওয়ার্কে বল এগিয়ে দেন অস্কার বব। সেখান থেকেই ভলিতে দুর্দান্ত ফিনিশ করেন হালান্ড। মাত্র এক মিনিট পর থরস্টভেটের ডান দিকের ক্রসে আবার গোল। ঠিক জায়গায় ঠিক সময়ে পৌঁছে সহজ ট্যাপ-ইনে বল জালে জড়ান।

শেষ দিকে মাতেও পোলিতানোর শট অল্পের জন্য বাইরে গেলেও ইতালির আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না। যোগ করা সময়ে উলভসের ইয়র্গেন স্ট্র্যান্ড লার্সেন ডান দিক দিয়ে দারুণ দৌড়ে মানচিনিকে কাটিয়ে বক্রশটে দোনারুম্মাকে পরাস্ত করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-১।

রাতটা তাই নরওয়ের। হালান্ডের জোড়া গোলের উৎসবে তারা ফিরল বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে, দুই যুগের বেশি সময় পর।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ