রোমাঞ্চকর ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারত অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন
Published: 28th, September 2025 GMT
রোমাঞ্চে মোড়া এক রাত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলোয় ভাসছিল এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই। গ্যালারিতে উত্তেজনার ঢেউ, মাঠে ঝড় ওঠা আবেগ; সব মিলিয়ে যেন ক্রিকেট হয়ে উঠেছিল কাব্যেরই এক রূপ।
‘এশিয়া কাপ-২০২৫’–এর ফাইনাল মহারণে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ভারত ছিনিয়ে নিলো অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের মুকুট। মহাদেশীয় ক্রিকেটে এটা তাদের নবম শ্রেষ্ঠত্ব, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দ্বিতীয়। ২০১৬–র পর আবারও টি-টোয়েন্টিতে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি উঠল ভারতীয়দের হাতে।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন
বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন মিথুন মানহাস
তবে কেবল ভারতের জয়গাথা নয়, ফাইনালটিকে মনে রাখার মতো করে তুলেছে পাকিস্তানের অপ্রাপ্তিও। শুরুটা ছিল স্বপ্নময়—৯.
ভারতের স্পিন জাদুকরদের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ে সালমান-শাহীনদের দল। কুলদীপ যাদব যেন এক মায়াবি কবি। স্পেলের শেষ ওভারে মাত্র ১ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। ৩০ রানে মোট উইকেট নেন ৪টি। পাশে ছিলেন অক্ষর প্যাটেল (২/২৬), বরুণ চক্রবর্তী (২/৩০) ও বুমরাহর নিখুঁত আঘাত (২/২৫)। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে গিয়েছিল শীতের পাতাঝরার মতোই।
তবুও কিছু আলো ছড়িয়েছেন ফারহান (৫৭) আর ফখর জামান (৪৬)। কিন্তু বাকিদের স্কোর যেন ফোন নম্বরের মতো— ০৮১৬০০৬১!
লক্ষ্যটা বড় ছিল না, কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে ভারতও টালমাটাল হয়ে পড়ে। ২০ রানেই সাজঘরে ফিরে যান অভিষেক শর্মা (৫), সূর্যকুমার যাদব (১) ও শুভমান গিল (১২)। হঠাৎই স্টেডিয়ামে নেমে আসে আশঙ্কার অন্ধকার। কিন্তু সেখানেই আলো জ্বালান তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন ও শিভম দুবে।
সঞ্জু খেলেন ২৪ রানের শান্ত ইনিংস, দুবে করেন ৩৩ রানের ঝড়ো ক্যামিও। কিন্তু আসল কবিতাটা রচনা করেন তিলক ভার্মা অপরাজিত ৬৯ রানের দীপ্ত ইনিংস খেলে। তার ব্যাট থেকে ঝরে পড়া চার-ছক্কা ছিল যেন রাত্রির আকাশে আতশবাজির ঝলকানি। শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত।
ফাহিম আশরাফ (৩/২৯) আর শাহীন আফ্রিদি (১/২০) লড়াই করেছেন প্রাণপণে, কিন্তু ভাগ্য লিখে রেখেছিল ভিন্ন কবিতা। হারিস রউফের দুই ওভারে ৩০ (১৭ ও ১৩) ভারত ঘুরে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত হারিসের ওভারেই জয় নিশ্চিত করে।
এভাবেই আবারও ট্রফি উঠল ভারতের হাতে। গ্যালারিতে ভারতীয় সমর্থকেরা গেয়ে উঠল বিজয়ের গান। আর পাকিস্তান? তাদের জন্য থেকে গেল গভীর আক্ষেপ— ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু, বোলিংয়েও দারুণ সূচনা, তারপরও ট্রফি ছোঁয়া হলো না। ২০১২ সালের পর থেকে আর হয়নি শিরোপা জয়। এই অপেক্ষার প্রহর হয়তো আরও দীর্ঘ হলো, ঠিক যেন মরুভূমিতে বৃষ্টির প্রতীক্ষা।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে