কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকায় রাবারবাগানের ভেতর থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি গাছের সঙ্গে ঝুলছিল। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ওই তরুণের নাম রাজু শর্মা (২৪)। তিনি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রণজিত শর্মার ছেলে। জোয়ারিয়ানালা বাজারের একটি সেলুনের কর্মচারী ছিলেন তিনি। তাঁর লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একটি গাছের সঙ্গে রাজু শর্মার লাশ ঝুলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দুপুর ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন।
গত রোববার থেকে রাজুর খোঁজ মিলছিল না জানিয়ে তাঁর বাবা রণজিৎ শর্মা অভিযোগ করেন, রাজুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার পর গলায় রশি বেঁধে রাবারগাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এক প্রতিবেশীর সঙ্গে রাজুর টাকাপয়সা নিয়ে বিরোধ ছিল।

রাজুর বড় ভাই ছোটন শর্মা বলেন, এক প্রতিবেশী নারী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কয়েক দিন ধরে রাজু শর্মাকে খোঁজাখুঁজি করে আসছেন। ওই নারীর পরিবারের দাবি, রাজু তাঁদের ৫২ হাজার টাকা নিয়ে এক ব্যক্তিকে হস্তান্তরের কথা থাকলেও দেননি। টাকা ফেরত না দিলে রাজুকে গুম করার হুমকি দেওয়া হয়।

ছোটন শর্মা আরও বলেন, রোববার বিকেল পাঁচটার পর রাজুর মুঠোফোন সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, পূজা উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে রাজু হয়তো বেড়াতে গেছেন। এর মধ্যেই রাজুর লাশ পাওয়া গেল। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন ছোটন শর্মা।

জানতে চাইলে রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

ফরিদ বলেন, গলায় দড়ি প্যাঁচানো গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তরুণের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এটি হত্যা কি না, নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তর ণ র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ