দাউদকান্দিতে ১৪ মামলার পলাতক আসামি সাবেক যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 4th, October 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় হত্যাসহ ১৪ মামলার পলাতক আসামি ও জিংলাতলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহ আলম (৪০) ওরফে পা কাটা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানার পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট উপজেলার গৌরীপুর বাজারে তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো.
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন অটোরিকশাচালক প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা শত শত সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নদীপথে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে শাহ আলমের নির্দেশে এখনো নিয়মিত চাঁদা তোলা হচ্ছে। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক বছর আগে তাঁর সহযোগীরা তাঁর একটি পা কেটে নিয়ে যান। পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে পা প্রতিস্থাপন করা হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার গৌরীপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাসহ ১৪ মামলার পলাতক আসামি যুবলীগের সাবেক নেতা শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের পর থানাহাজতে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ উদক ন দ শ হ আলম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে