অগ্নিকাণ্ডে জামায়াতের অফিসসহ ১০ দোকান ভস্ম
Published: 4th, October 2025 GMT
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের সেনেরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জামায়াতে ইসলামীর ইউনয়নের অস্থায়ী কার্যালয়সহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে দোকান, দিশেহারা বাবু
চাঁদপুরে পুড়িয়ে দেওয়া সেই নারীর মৃত্যু, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন
সেনেরহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বাজারে অবস্থিত জামায়াতে ইসলামীর শোলক ইউনিয়ন শাখার অস্থায়ী কার্যালয়, কাওছার সিকদারের খাবার ও চায়ের দোকান, আব্দুল হাকিম বেপারীর ফার্মেসী, জহিরুল ইসলাম খানের ইলেকট্রনিক্সের দোকান পুড়ে যায়।
এছাড়া মাহফুজুর রহমান খানের কাপড় ও জুতার দোকান, রুবেল হাওলাদারের ইলেকট্রনিক্সের দোকান, নুরুল হক হাওলাদারের পান সুপারির দোকান, হানিফ বেপারীর হার্ডওয়ারের দোকানসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
উজিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, “খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।”
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।”
ঢাকা/পলাশ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুরবাড়িতে যুবককে ‘গলা কেটে হত্যাচেষ্টা’, পাশের ঘরে খোঁড়া হয়েছিল গর্ত
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) পলাতক।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় তাঁর একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে লাবণী আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে কাস্তে দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টার আগে পাশের ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় ফরহাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর আগেই ওই তিন নারী পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ফরহাদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।
ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা জমি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার জেরেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফরহাদের স্ত্রী লাবণীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।