সীতাকুণ্ডে হামলা করতে আসা সশস্ত্র ব্যক্তিদের ঘেরাও করে পিটুনি, একজনের মৃত্যু
Published: 4th, October 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর অলিনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি দেশি অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে আজ শনিবার ভোরে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের দোকান ও স্থাপনায়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন হামলাকারীদের ঘেরাও করে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হামলা করতে আসা আরও ১৪ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ ভোর চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও আজ বিকেলে তা জানাজানি হয়। সংঘর্ষে আহত ১৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হতাহত ব্যক্তিদের নাম–পরিচয় পাওয়া যায়নি।
হামলাকারীদের নিয়ে আসা একটি দেশে তৈরি এলজি, আটটি শটগানের গুলি, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, একটি চাপাতি, একটি লোহার হাতুড়ি ও তিনটি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয় লোকজন।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোর চারটার দিকে রোকন উদ্দিন নামের যুবদল নেতার অনুসারী লোকজন সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর গ্রামের অলিনগর এলাকায় অতর্কিতে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন দোকানপাট চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। এ সময় সেখানে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর চালান। মূলত ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে এমন হামলা বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা আরও বলেন, হামলাকারী দলের ৫০ থেকে ৬০ জন লোক ছিলেন। হামলার পর ওই এলাকার নেতা মো.
সোহেল রানা বলেন, পাল্টা আক্রমণে আহত ১৫ জন থেকে একটি দেশে তৈরি এলজি, ৮টি শটগানের গুলি ২টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১টি চাপাতি, ১টি লোহার হাতুড়ি ও পিস্তলের ৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন কোনো পক্ষ মামলা দিলে সেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভুমিদস্যু ইয়াসিনের লোকজন ছিন্নমূল এলাকা থেকে স্থানীয় ১৫ জন বাসিন্দাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করে। তাদের মারধরে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তবে এই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, যারা হামলার শিকার হয়েছেন তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এটা ঠিক। এসব ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭ কেজি গাঁজাসহ হোসেন মনা (৪২) নামে এক চিহ্নিত ও একাধিক মামলার আসামি এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউস গেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হোসেন মনা সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর আজিবপুর বাগানবাড়ী এলাকার মৃত আঃ লতিফ স্বর্ণকারের ছেলে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে থানা এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদক উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে ডিউটি করছিলেন তিনি।
এমন সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, সিদ্ধিরগঞ্জ পুল কাঠপট্টি এলাকায় মনির হোসেনের শাহ-দেওয়ানবাগী ফার্নিচার মার্ট নামক দোকানের সামনের পাকা রাস্তার ওপর একজন মাদক ব্যবসায়ী বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারি হোসেন মনা কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে।
পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে আটক করে। পরে পবর্তীতে তার হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশি করে ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত হোসেন মনার বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যা মামলাসহ পূর্বেও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম এক কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন মাদকের বিরুদ্ধে আমরা 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বেরও একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আমরা তার সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
সিদ্ধিরগঞ্জে মাদকমুক্ত করতে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।