অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা
Published: 5th, October 2025 GMT
যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান ও সুনাম যত বেশি, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ তত বেশি। তবে ইচ্ছা থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সময়ে প্রত্যাশিত ডিগ্রি সেই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জন করতে পারেন না অধিকাংশ আগ্রহী শিক্ষার্থী। এ ক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে অনলাইনে পড়াশোনা। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ডের মতো সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে কোর্স করার সুযোগ মেলে এ সুযোগ পাল্টে দিতে পারে আগ্রহী শিক্ষার্থী–পেশাজীবীর জীবনের গল্প। অনলাইনভিত্তিক এসব কোর্স কর্মজীবীদের জন্য সময়োপযোগীও বটে।
এবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দিচ্ছে সেই সুযোগ। অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সেবা দিচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি। যাঁরা ঘরে বসেই নিজের দক্ষতা বাড়াতে ও নতুন বিষয়ে শেখার সুযোগ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য দারুণ সুযোগ এনে দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড। ২০২৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০টির বেশি ফ্রি অনলাইন কোর্স চালু করেছে, যেখানে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবেন। বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকেই আবেদন করা যাবে, সার্টিফিকেটও পাওয়া যাবে অল্প খরচে।
ঘরে বসেই শেখা, নেই অর্থের চিন্তা
অক্সফোর্ডের এই অনলাইন কোর্সগুলো edX প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। শেখানো হবে বিশ্বের শীর্ষ শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। অংশগ্রহণকারীরা ঘরে বসেই কোর্স সম্পন্ন করতে পারবেন—অর্থাৎ বিদেশে না গিয়েও অক্সফোর্ডের শিক্ষা এখন হাতের নাগালে।
এই কোর্সগুলো নিজের সময়ে শেখা সম্ভব। বেশির ভাগ কোর্সের কোনো পূর্ব শিক্ষাগত যোগ্যতা বা শর্ত নেই। এমনকি শিক্ষার্থীরা চাইলে বিনা খরচে অংশ নিতে পারবেন। সার্টিফিকেট পেতে চাইলে কেবল একটি সামান্য ফি দিতে হবে।
অক্সফোর্ডের অনলাইন কোর্সগুলোতে আবেদনে কোনো বয়সসীমা নেই। সার্টিফিকেট চাইলে নির্ধারিত ফি দিতে হবে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ বব দ য ল ব শ বব দ য
এছাড়াও পড়ুন:
দুই যুগ বেতন নেই শিক্ষকের, ঘাস-পাতা বেচে চলছে সংসার
দিনাজপুরের বিরামপুরে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন আব্দুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি। জীবিকার তাগিদে বর্তমানে তিনি রাস্তার ধারে ঘাস ও কাঠালের পাতা বিক্রি করে কোনোরকমে সংসার চালাচ্ছেন। আব্দুল হামিদকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
১৯৯৩ সালে বিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত আব্দুল হামিদ। প্রথমে কেরানি হিসেবে যোগ দেন তিনি। চাকরির পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএজিএড সম্পন্ন করে ২০০২ সালে কৃষি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন আব্দুল হামিদ। ২০০৭ সালে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করলেও বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ নারী কোটা পূরণ না হওয়ায় তা বাতিল হয়। পরে নিয়োগবিধির বিভিন্ন জটিলতায় পরপর ৯ বার আবেদন করেও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি তিনি।
আরো পড়ুন:
ঢাবির ৩০ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ও বৃত্তি প্রদান
নেত্রকোণায় প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি
প্রায় দুই যুগ ধরে শিক্ষকতা করলেও নিয়মিত বেতন পান না আব্দুল হামিদ। পরিবারের হাল ধরতে এখন বাধ্য হয়ে ঘাস ও পাতা বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে। তবু, শিক্ষকতার প্রতি তার ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ অটুট আছে।
আব্দুল হামিদ রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছি। কিন্তু, এমপিওভুক্ত না হওয়ায় নিয়মিত বেতন পাই না। সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে এখন ঘাস বিক্রি করছি। তবু, স্কুলের দায়িত্ব পালন করি নিয়মিত। আশা করি, আমার ন্যায্য প্রাপ্য একদিন পাব।”
দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেছেন, “আব্দুল হামিদ স্যার ভালো মানুষ এবং খুব ভালো পড়ান। তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন। এত বছরেও স্যার এমপিওভুক্ত না হওয়া বড় অন্যায়। আমরা চাই, দ্রুত তাকে এমপিওভুক্ত করা হোক।”
দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক বলেন, “নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক হয়েও জীবিকার তাগিদে তাকে ঘাস বিক্রি করতে হচ্ছে, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তাকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করা উচিত।”
বিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মন্ডল জানান, আব্দুল হামিদের সব কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একজন শিক্ষকের এমন দুঃখজনক বাস্তবতা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এমপিওভুক্তির মাধ্যমে তার দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।
ঢাকা/মোসলেম/রফিক