রংপুরে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, একজন গ্রেপ্তার
Published: 6th, October 2025 GMT
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল রোববার রাতে মাহীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুস এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মাহীগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী শেফালী বেগম ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার এক আসামি ভুক্তভোগীর সতিন আমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের নিজতাজ গ্রামে গৃহবধূ শেফালী বেগমকে সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরসহ শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে নির্যাতন করেছেন। পরে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনরংপুরে গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ছড়িয়েছে ভিডিও২১ ঘণ্টা আগেশেফালী অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে প্রবাসী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। নজরুল তাঁর খোঁজখবর ঠিকমতো রাখতেন না। সম্প্রতি নজরুল বাড়িতে এলেও তাঁর খোঁজ নেননি। একপর্যায়ে শেফালী লোকমুখে জানতে পারেন, তাঁকে তালাক দিয়েছেন নজরুল। গত শনিবার ভোরে তিনি তালাকের কাগজপত্র চাইতে নজরুলের বাড়িতে যান। তখন তাঁকে বাড়ির বাইরে সুপারিগাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়।
নজরুল দাবি করেন, তিনি শেফালীকে তালাক দিয়েছেন। সেই রাতে তাঁর ঘরের পেছনে তাঁকে বেঁধে রাখা হলেও মারধর করা হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সহকারী শিক্ষকের বেতন কম্পিউটার অপারেটরের সমান, কলেজ অধ্যাপকের বেতন যুগ্ম সচিবেরও নিচে
শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড কম্পিউটার অপারেটরের স্কেলের সমান। আর সরকারি কলেজের অধ্যাপকের স্কেল একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে। এটি মনে রাখতে হবে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এসব কথা বলেন। আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠান। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের সম্মান জানাতে আজ সারা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে দিবসটি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। অবশ্য বাংলাদেশে এমন সময়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে, যখন বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকেরা আর্থিক ও মর্যাদার দাবিতে নানা রকমের আন্দোলন করছেন।
আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেকের বেশি শিক্ষকের নেই উচ্চতর ডিগ্রি০৪ অক্টোবর ২০২৫অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষা ও শিক্ষকদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আমরা দেখব, সবচেয়ে নিচে রয়েছেন আমাদের প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকেরা। তাঁরা কত গ্রেডে বেতন পান? ১৩ (জাতীয় বেতনস্কেলের ১৩তম গ্রেড)। অর্থাৎ একজন কম্পিউটার অপারেটরের স্কেলে...। এই হচ্ছে তাঁর সম্মান। উপজেলা হেড কোয়ার্টারে যেখানে তিনি বেতন পান, সেই হিসাবরক্ষক, তাঁর স্কেল হচ্ছে ১২তম। তাঁকে স্যার ডাকার মতো অবস্থা।’
অন্যান্য স্তরের শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘সরকারি কলেজের অধ্যাপকের স্কেল কত, চার (চতুর্থ গ্রেড)। অর্থাৎ একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে অবস্থান করেন। আমরা এই মর্যাদা দিচ্ছি শিক্ষকদের। সুতরাং শিক্ষকদের যদি সত্যি মর্যাদা দিতে হয়, তাহলে শুধু মুখের কথায় চিড়া ভিজবে না। এই কথাটা আমাদের মনে রাখতে হবে।’
আরও পড়ুনপ্রিয় শিক্ষক সম্মাননা পেলেন ১০ জন১৫ ঘণ্টা আগেঅনুষ্ঠানে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ১২ গুণী শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের মহাসচিব সালিম এম. আল মালিক, ইউনেসকোর ঢাকা অফিসের প্রধান সুসান ভাইজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা।