জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা, সাদা উত্তরপত্র এবং পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ
Published: 6th, October 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষার সাদা উত্তরপত্র ও আনুষঙ্গিক (করোগেটেড বোর্ড বা বক্স) মালামাল নিচের তারিখ অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর ক্যাম্পাস ও আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে বিতরণ করা হবে। অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার প্রাধিকার পত্রসহ প্রতিনিধি (সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির একাধিক সদস্য) পাঠিয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র গাজীপুর ক্যাম্পাস ও নিজ নিজ আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষার ২২ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিত হবে। নিচের আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে গ্রহণ করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো.
নির্ধারিত বিভাগ ও জেলার নাম
১. ঢাকা বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ, ঢাকা মহানগর এবং ফরিদপুর, রাজবাড়ী জেলা
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, গাজীপুর, ফোন: ০২-৯৯৬৬৯১৫১৭।
# বিতরণের তারিখ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার।
২. খুলনা বিভাগ ও গোপালগঞ্জ জেলা
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: বাড়ি-২৭৭, রোড-১, কে ডিএ সোনাডাঙ্গা আ/এ, ২য় ফেজ, খুলনা, ফোন: ০২৪৭৭-৭২৬৫৪৮।
# বিতরণের তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
৩. বরিশাল বিভাগ ও মাদারীপুর, শরিয়তপুর জেলা
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: ২৪ নম্বর ওয়ার্ড, পটুয়াখালী সড়ক, রূপাতলী (সোনারগাঁও টেক্সটাইলের বিপরীতে), বরিশাল, মোবাইল নম্বর: ০১৭১১-৮৮৯৯৭০।
# বিতরণের তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
৪. রংপুর বিভাগ
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: বিনোদপুর, রংপুর, (আর কে রোড সংলগ্ন, বিএনসিসি মোড় হতে ৪০০ মিটার পশ্চিমে), মোবাইল নম্বর: ০১৭১-২৬০২৩৮৬, ০১৭১২-২২০৬৫৭।
# বিতরণের তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
৫. রাজশাহী বিভাগ
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: বাড়ি- ৩৫৪, বালিয়া পুকুর, বড় বটতলা, ঘোড়ামারা, রাজশাহী, ফোন: ০৭২১-৭৬২১৪১।
# বিতরণের তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
৬. বগুড়া আঞ্চলিক কেন্দ্র (বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট জেলা ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা)
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: বগুড়া, মাটিডালি মোড়, বারপুর (ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন) মোবাইল নম্বর: ০১৯১২-৪০৮৫৭০।
# বিতরণের তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার।
৭. সিলেট বিভাগ
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: আহাদ ভিলা, পাঠানটোলা পয়েন্ট, সিলেট, ফোন: ০৮২১-৭২৯১০২।
# বিতরণের তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার।
৮. হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্র (হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ব্যতীত), মৌলভি বাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, রায়পুরা ও ভৈরব উপজেলা)
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: দাউদনগর বাজার ডাক+থানা+পৌরসভা: শায়েস্তাগঞ্জ, হোল্ডিং নম্বর-৩৩, ওয়ার্ড নম্বর -২, হবিগঞ্জ, মোবাইল নম্বর: ০১৭১৬-৫৬৩০৩৭।
# বিতরণের তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার।
৯. চট্টগ্রাম বিভাগ
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: ভাটিয়ারি লিংক রোড (রেললাইনসংলগ্ন), বড় দিঘির, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। মোবাইল নম্বর:০১৫৫৪৭২৫৩৭৪, ০১৬২৬১৪৪৯৬৪।
# বিতরণের তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার।
১০. কুমিল্লা আঞ্চলিক কেন্দ্র (কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী,লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা)
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: বাড়ি নম্বর ১০/ক, ব্লক- এফ, সেকশন-১, হাউজিং এস্টেট, কুমিল্লা, ফোন: ০১৭১৪০৪৮৭২৫।
# বিতরণের তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার।
১১. ঝিনাইদহ আঞ্চলিক কেন্দ্র (ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া,মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা)
# আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঠিকানা: হোল্ডিং নম্বর-১০৭৩, চুয়াডাঙ্গা রোড, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ, থানা-ফোন: ০১৭১৬৪৪২১০৯।
# বিতরণের তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার।
বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট :
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব তরণ র ত র খ ঝ ন ইদহ র অন র পর ক ষ স মব র
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা আবশ্যক: এইচআরডব্লিউ
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, দুজনেরই অনুপস্থিতিতে এ বিচার করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পছন্দের আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব পাননি। আদালত তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা গুরুতর মানবাধিকার উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ মামলার তৃতীয় আসামি সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। তিনি প্রসিকিউশনের সাক্ষী (রাজসাক্ষী) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁকে সাজা কমিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, হাসিনার দমনমূলক শাসন নিয়ে বাংলাদেশে এখনো ক্ষোভ ও বেদনা বিদ্যমান। তবে সব ফৌজদারি বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানের ন্যায়বিচারের মানদণ্ড মেনে চলা আবশ্যক।
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি আরও বলেন, হাসিনা সরকারের সময় সংঘটিত ভয়ংকর নির্যাতন-নিপীড়নের জন্য দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। আর তা হতে হবে নিরপেক্ষ তদন্ত ও গ্রহণযোগ্য বিচারের মাধ্যমে।
এইচআরডব্লিউর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের তিন সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভকালে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ বিক্ষোভেই হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ ও দমন–পীড়নে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত বিক্ষোভকারী।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি১৫ ঘণ্টা আগেএইচআরডব্লিউ বলেছে, যাঁরা নির্যাতন ও দমন–পীড়নের জন্য দায়ী, তাঁদের যথাযথভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। তবে বিচারকাজ আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ এবং নিজের পছন্দের আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার অধিকারের ক্ষেত্রে। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় বিচারপ্রক্রিয়ার ন্যায্যতা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, প্রসিকিউশন ৫৪ জন সাক্ষী হাজির করেছিল। তাঁদের প্রায় অর্ধেকই বিশেষজ্ঞ সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যরা ছিলেন ভুক্তভোগী বা তাঁদের পরিবারের সদস্য। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং ছিল। যেখানে তিনি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন বলে মনে করা হয়।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আসামিদের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি। তিনি সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলেও অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী উপস্থাপন করেননি।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের হত্যাযজ্ঞের ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৯ ঘণ্টা আগেএইচআরডব্লিউর মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় সংঘটিত গুরুতর অধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার রাখেন, যা অবশ্যই প্রকৃত স্বাধীন ও ন্যায়সংগত বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা মানে আসামিদের অধিকার রক্ষা করাও। এর মধ্যে রয়েছে মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করা, যা স্বভাবগতভাবে নির্মম ও অপরিবর্তনীয়।
আরও পড়ুনএ রায় ঘোষণা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুক্তভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: ওএইচসিএইচআর১০ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনআন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের খবর কতটা গুরুত্ব পেল১৬ ঘণ্টা আগে