ছেলেকে ৪৯ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিচ্ছেন বাবা, কী কারণে
Published: 6th, October 2025 GMT
ছেলেকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি ব্যাংকের প্রায় ৪৯ কোটি টাকা শেয়ার উপহার দিচ্ছেন বাবা। আজ সোমবার বাবার পক্ষ থেকে ছেলেকে অর্ধশত কোটি টাকার শেয়ার উপহার দেওয়ার এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা আবদুল হালিম তাঁর ছেলে আবদুল হাকিমকে ব্যাংকটির প্রায় ২ কোটি ৬৩ লাখ শেয়ার উপহার দেবেন।
ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। সেই হিসেবে ২ কোটি ৬৩ লাখ শেয়ারের বাজার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৪৯ কোটি টাকা।
ডিএসইতে প্রকাশিত ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, আবদুল হালিম শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের একজন উদ্যোক্তা। তবে তিনি ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদে নেই। এমনকি তাঁর ছেলে আবদুল হাকিমও ব্যাংক পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নন। আবদুল হাকিম ব্যাংকটির একজন সাধারণ শেয়ারধারী।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক।
ডিএসইতে দেওয়া শেয়ার উপহারের ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা আবদুল হালিম তাঁর ছেলেকে যে পরিমাণ শেয়ার উপহার দিচ্ছেন তা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি। ফলে উপহারের এই শেয়ার নিয়েই আবদুল হাকিম চাইলে ব্যাংকটির পরিচালক হতে পারবেন। কারণ, উপহারের এই শেয়ারে তিনি ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ করবেন। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলত ছেলেকে ব্যাংকের পরিচালক করতেই বাবার পক্ষ থেকে এই শেয়ার উপহার দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে উপহারের এই শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করা হবে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। সর্বশেষ গত আগস্ট শেষে ব্যাংকটির শেয়ারের ৪১ দশমিক ৩৬ শতাংশই ছিল এটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। ব্যাংকটি ভালো মানের কোম্পানি হিসেবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। সর্বশেষ ২০২৪ সালে শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
সর্বশেষ গত জুনে সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ২৮৮ কোটি টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হজ ল ল ইসল ম শ য় র উপহ র দ আবদ ল হ ক ম শ য় রব জ র উদ য ক ত এই শ য় র উপহ র র
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি যুবরাজের সমালোচক জামাল খাশোগি যেভাবে মারা হয়েছিলো
জামাল খাশোগি ছিলেন একজন বিশিষ্ট সৌদি সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং লেখক। একসময়ের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। পরে রাজপরিবারের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পান। সৌদি রাজপরিবারের বৃত্তি নিয়ে জামাল খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি আল-আরাব নিউজ চ্যানেল-এর মহাব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন। কিন্তু খাশোগির লেখায় ক্রমাগত স্থান পাচ্ছিলো সৌদি রাজতন্ত্রের নানা নেতিবাচক দিক। বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের।
২০১৭ সালের জুনে যুবরাজ মোহাম্মদ ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর কড়া সমালোচক হিসেবে খাশোগি তার রোষানলে পড়েন। অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেকে বাঁচাতে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যান তুরস্কে।
আরো পড়ুন:
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ: ট্রাম্প
সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে রাজি ট্রাম্প
২০১৮ সালে সৌদি আরব থেকে ১৫ সদস্যদের দল উড়ে গিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে গত ২ অক্টোবর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। সে সময় আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোতে স্থান পায় খাশোগির মৃত্যুর খবর। সমালোচনায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন উচ্চ নিরাপত্তার স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো অসম্ভব।
তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া বিবৃতির ভিত্তিতে স্পষ্ট হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক মূলত সৌদি আরবের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
খাশোগিকে হত্যার পর আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে সৌদি আরব। কিন্তু সমালোচনা আরও বাড়তে থাকে। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কনস্যুলেট ভবনে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। তবে এ হত্যার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতা জোরের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।
ঢাকা/লিপি