গতকাল রাতে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ১–০ গোলের জয়ে নতুন এক মাইলফলক গড়েছেন পেপ গার্দিওলা। এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গার্দিওলার ২৫০তম জয়। তবে এই মাইফলক অন্য যেকোনো কোচের চেয়ে দ্রুততম সময়ে গড়েছেন গার্দিওলা।

এই মাইলফলক ছুঁতে গার্দিওলার লেগেছে ৩৪৯ ম্যাচ। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দুই কিংবদন্তি স্যার আলেক্স ফার্গুসন ও আর্সেন ওয়েঙ্গারের লেগেছে যথাক্রমে ৪০৪ ও ৪২৩টি করে ম্যাচ।

ফার্গুসন এই কীর্তি গড়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে, আর ওয়েঙ্গার আর্সেনালে। গতকালের ম্যাচ শেষে ফার্গুসন ও ওয়েঙ্গারকে ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেছেন গার্দিওলা। জানিয়েছেন এই দুজনকে ডিনার করানোর ইচ্ছের কথাও।

আরও পড়ুনহলান্ডের গোলে সিটির জয় এবং গার্দিওলার কীর্তি১৫ ঘণ্টা আগে

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হলে গার্দিওলা হাসতে হাসতে বলেন, ‘স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন আর আর্সেন ওয়েঙ্গারের পাশে জায়গা পাওয়া আমার জন্য সম্মানের। আমি ওদের ভালো একটা ডিনারে আমন্ত্রণ জানাব। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের অংশ হতে পারা আনন্দের। খুব খুশি লাগছে।’

প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে কম ম্যাচে ২৫০ জয়ের কীর্তি গড়েছেন পেপ গার্দিওলা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র গ সন

এছাড়াও পড়ুন:

ফার্গুসন-ওয়েঙ্গারের মতো কিংবদন্তিদের পেছনে ফেলে গার্দিওলার ইতিহাস

পেপ গার্দিওলা আবারও ইতিহাস লিখলেন। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির রোববার (০৫ অক্টোবর) রাতের জয় তাকে নিয়ে গেল এক নতুন উচ্চতায়, প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত ২৫০ জয় পাওয়া কোচ হিসেবে। মাত্র ৩৪৯ ম্যাচেই এই অসাধারণ মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন স্প্যানিশ এই মাস্টারমাইন্ড।

এই যাত্রায় পেছনে ফেলেছেন ফুটবল ইতিহাসের দুই মহাতারকা- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন (৪০৪ ম্যাচে ২৫০ জয়) এবং আর্সেনালের প্রাক্তন কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার (৪২৩ ম্যাচে ২৫০ জয়)।

আরো পড়ুন:

মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সূর্যবংশীর ছক্কার বিশ্বরেকর্ড

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

রবিবারের ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডকে ১-০ গোলে হারায় সিটি, একমাত্র গোলটি করেন আরলিং হালান্ড এবং ম্যাচের প্রথমার্ধে নবম মিনিটে। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

প্রিমিয়ার লিগে ২৫০ জয়ের মাইলফলক ছোঁয়া কোচের সংখ্যা কম নয়, কিন্তু গার্দিওলার মতো দ্রুত কেউ পারেননি। যেখানে ডেভিড ময়েসকে এই সংখ্যায় পৌঁছাতে লেগেছে ৬৪৫ ম্যাচ, সেখানে গার্দিওলা তা করেছেন প্রায় ৩০০ ম্যাচ কমে। এটি প্রমাণ করে কেন গার্দিওলার ফুটবল দর্শন, তার কৌশল আর শৃঙ্খলা আধুনিক ফুটবলের এক অনন্য পাঠ।

মৌসুমের শুরুটা তেমন সুখকর ছিল না ম্যানচেস্টার সিটির জন্য। টানা দুটি ম্যাচ হেরেছিল টটেনহ্যাম ও ব্রাইটনের বিপক্ষে। কিন্তু এরপর থেকেই যেন আবার পুরনো ছন্দে ফিরেছে ‘দ্য সিটিজেনস’। সবশেষ চারটি লিগ ম্যাচে অপরাজিত তারা, আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সাত ম্যাচে অজেয়।

এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই গার্দিওলার দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে, এবং লিগ টেবিলেও তাদের অবস্থান দিন দিন মজবুত হচ্ছে।

তবে রবিবারের জয়েও দুশ্চিন্তা আছে একটা, রদ্রির ইনজুরি। ম্যাচের মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়তে হয় স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে। যদিও তিনি হেঁটে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু ব্যথায় তার মুখের অভিব্যক্তি বলছিল ভিন্ন কথা। গার্দিওলার দলে রদ্রির ভূমিকা অপরিসীম, ফলে তার অনুপস্থিতি সিটির জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।

নরওয়ের গোলমেশিন হালান্ড যেন আবার আগুনে ফর্মে ফিরেছেন। নতুন মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাত্র ৯ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ১২। তবে নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও হালান্ড জানিয়েছেন, ইউরোপের শীর্ষ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে হ্যারি কেইন ও কিলিয়ান এমবাপ্পের চাপ তিনি টের পাচ্ছেন। “চাপ সবসময় থাকে,” বলেছেন হালান্ড, “কিন্তু আমি সেটাকেই প্রেরণা হিসেবে নিচ্ছি।”

গার্দিওলার এই ২৫০তম জয় তাই শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, এটি এক যুগান্তকারী অধ্যায়। যেখানে ফুটবল কৌশল, দৃঢ়তা আর নেতৃত্ব মিলেমিশে তৈরি করেছে এক নতুন ইতিহাস। যা আগামী প্রজন্মের কোচদের জন্য হবে এক অনুপ্রেরণার পাঠ।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফার্গুসন-ওয়েঙ্গারের মতো কিংবদন্তিদের পেছনে ফেলে গার্দিওলার ইতিহাস