ভবিষ্যতে একটি শিশুশিক্ষার্থী কোন পেশায় যাবে, সেটি ঠিক করার আগেই শিশুকে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই কোডিং বা প্রোগ্রামিং শেখানো প্রযুক্তির এই যুগে অনেকটাই অবশ্যকরণীয় বিষয়। এটি একটি শিশুকে নতুন একটি গাণিতিক ভাষা শেখায়, তাদের সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহিত করে, গণিতের ভিত্তি শক্ত করে, ভাবনাগুলোকে পরিকল্পিত উপায়ে সংগঠিত করতে শেখায়। এটি পরবর্তী সময়ে তাদের ‘একাডেমিক রাইটিং স্কিল’ বা লেখার দক্ষতা বাড়ায় এবং সব ধরনের সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতাএসএসসি পরীক্ষা ২০২৬: বাংলাসহ তিন বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামোয় এল পরিবর্তন

এটি একটি অ্যাকটিভ লার্নিং বা কার্যকর শিক্ষণ, যেটির শুরু মা–বাবার হাতেই হতে পারে। এবং শিশুরা এতে আনন্দের সঙ্গে অনেক কঠিন বিষয় শিখে নিতে পারে, যা তাকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে একজন দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। ছোটবেলা থেকে কোডিং শেখার উপকারিতাও অনেক, যা একটি শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যে ১০ কারণে ছোটবেলা থেকে কোডিং শেখা উচিত শিশুশিক্ষার্থীদের।

আরও পড়ুনকেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স, নেই বয়সের সীমা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১.

কোডিং শেখা শিশুদের জটিল সমস্যাকে ছোট ছোট অংশে ভেঙে সমাধান করতে শেখায়। এতে তারা ধাপে ধাপে, যুক্তিনির্ভরভাবে সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করে।

২. কোডিং সৃজনশীলতার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এর মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের গেম, অ্যানিমেশন ও অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে।

৩. বিমূর্ত ধারণাগুলোকে দৃশ্যমান করা এবং বাস্তব জীবনের উদাহরণে প্রয়োগের মাধ্যমে কোডিং গণিত, লেখা বা অন্যান্য শিক্ষা ক্ষেত্রে পারদর্শিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. কোনো প্রকল্পের ধারণা থেকে শুরু করে তা সফলভাবে তৈরি করা শিশুর মনে সাফল্যের অনুভূতি জাগায় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

৫. কোডিং এক ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম। দলগত কোডিং প্রজেক্টের মাধ্যমে শিশুদের দলগতভাবে কাজ করার দক্ষতা ও যোগাযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কোডিং শিখছে ছাত্রীরা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫২ সিনেমা আয় করেছে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা...

তাঁকে এখন বক্স অফিসের রানী বলাই যায়। কারণ, তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলো বক্স অফিসে যা আয় করেছে তার ধারেকাছে নেই অন্য কোনো তারকা। চলতি বছর ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’ দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এই অভিনেত্রী আর কেউ নন, স্কারলেট জোহানসন। আজ ২২ নভেম্বর, অভিনেত্রীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক তাঁর বক্স অফিসের রানী হয়ে ওঠার গল্প।

শুরুর গল্প
১৯৮৪ সালের ২২ নভেম্বর নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে জন্ম স্কারলেট জোহানসনের। ছোটবেলায় তাঁর আগ্রহ ছিল নাচে, বিভিন্ন জায়গায় নাচের তালিম নিয়েছেন। এরপর শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করা শুরু করেন টেলিভিশনের বিভিন্ন প্রকল্পে। মাত্র ৯ বছর বয়সে ‘লেট নাইট উইথ কোনান ওব্রায়ান’–এর একটি পর্বে দেখা যায় তাঁকে। এটিই ছিল তাঁর প্রথম উপার্জন। এর পরের বছরগুলোতে শিশুশিল্পী হিসেবে নিয়মিত কাজ করতে থাকেন। বড় হওয়ার পর ২০০৩ সালে দুই সিনেমা—‘লস্ট ইন ট্রান্সলেশন’ ও ‘গার্ল উইথ আ পাল এয়াররিং’–এ দেখা যায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। সেই শুরু, এরপর গত ২২ বছরে তাঁকে দেখা গেছে ভিন্নধর্মী বিভিন্ন প্রকল্পে। দর্শক থেকে সমালোচক—সবার কাছেই স্কারলেট জোহানসন হয়ে উঠেছেন সমীহ–জাগানিয়া এক নাম।

স্কারলেট জোহানসন

সম্পর্কিত নিবন্ধ