শিশুশিক্ষার্থীদের যে ১০ কারণে কোডিং শেখা উচিত
Published: 7th, October 2025 GMT
ভবিষ্যতে একটি শিশুশিক্ষার্থী কোন পেশায় যাবে, সেটি ঠিক করার আগেই শিশুকে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই কোডিং বা প্রোগ্রামিং শেখানো প্রযুক্তির এই যুগে অনেকটাই অবশ্যকরণীয় বিষয়। এটি একটি শিশুকে নতুন একটি গাণিতিক ভাষা শেখায়, তাদের সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহিত করে, গণিতের ভিত্তি শক্ত করে, ভাবনাগুলোকে পরিকল্পিত উপায়ে সংগঠিত করতে শেখায়। এটি পরবর্তী সময়ে তাদের ‘একাডেমিক রাইটিং স্কিল’ বা লেখার দক্ষতা বাড়ায় এবং সব ধরনের সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতাএসএসসি পরীক্ষা ২০২৬: বাংলাসহ তিন বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামোয় এল পরিবর্তনএটি একটি অ্যাকটিভ লার্নিং বা কার্যকর শিক্ষণ, যেটির শুরু মা–বাবার হাতেই হতে পারে। এবং শিশুরা এতে আনন্দের সঙ্গে অনেক কঠিন বিষয় শিখে নিতে পারে, যা তাকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে একজন দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। ছোটবেলা থেকে কোডিং শেখার উপকারিতাও অনেক, যা একটি শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যে ১০ কারণে ছোটবেলা থেকে কোডিং শেখা উচিত শিশুশিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুনকেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স, নেই বয়সের সীমা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫১.
কোডিং শেখা শিশুদের জটিল সমস্যাকে ছোট ছোট অংশে ভেঙে সমাধান করতে শেখায়। এতে তারা ধাপে ধাপে, যুক্তিনির্ভরভাবে সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করে।
২. কোডিং সৃজনশীলতার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এর মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের গেম, অ্যানিমেশন ও অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে।
৩. বিমূর্ত ধারণাগুলোকে দৃশ্যমান করা এবং বাস্তব জীবনের উদাহরণে প্রয়োগের মাধ্যমে কোডিং গণিত, লেখা বা অন্যান্য শিক্ষা ক্ষেত্রে পারদর্শিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. কোনো প্রকল্পের ধারণা থেকে শুরু করে তা সফলভাবে তৈরি করা শিশুর মনে সাফল্যের অনুভূতি জাগায় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৫. কোডিং এক ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম। দলগত কোডিং প্রজেক্টের মাধ্যমে শিশুদের দলগতভাবে কাজ করার দক্ষতা ও যোগাযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কোডিং শিখছে ছাত্রীরাউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দিকে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি ছাইফ উদ্দিন স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিনটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন।
সোমবার দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাতিয়া আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাৎক্ষণিক তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ করে। এসময় যৌথ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।”
ঢাকা/সুজন/এস