নামকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি একসময় ভালো চাকরির নিশ্চয়তা দিত। এখন সেই সময় শেষ। অন্তত এমনটাই মনে করেন পেশাজীবীদের জনপ্রিয় নেটওয়ার্কিং মাধ্যম লিংকডইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রায়ান রসলানস্কি। তিনি তরুণদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজার এখন দ্রুত বদলে যাচ্ছে। এখন নিয়োগদাতারা ডিগ্রির চেয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে দক্ষতা–সম্পর্কিত জ্ঞান ও অভিযোজনক্ষমতাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর তাই নামী প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রির পেছনে না ছুটে বাস্তব জ্ঞান ও শেখার মানসিকতার ওপর জোর দিতে হবে।

সম্প্রতি ‘ফায়ারসাইড চ্যাট’ নামের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে রসলানস্কি জানান, ভবিষ্যতের কর্মজগৎ হবে তাঁদের জন্য, যাঁরা দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। এআই বিপ্লব নিয়োগপ্রক্রিয়াকে নতুনভাবে গড়ে তুলছে। এখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানগুলো এমন কর্মীদের খুঁজছে, যাঁরা দ্রুত নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে সক্ষম।

মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক জরিপেও চাকরিক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে জানা গেছে। জরিপের তথ্যমতে, বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭১ শতাংশ ব্যবসা প্রধান অভিজ্ঞ প্রার্থীর চেয়ে কম অভিজ্ঞ হলেও এআই–সম্পর্কিত দক্ষ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আগ্রহী। এমনকি ৬৬ শতাংশ নিয়োগদাতা বলেছেন, এআই–সম্পর্কিত দক্ষতা না থাকলে তাঁরা প্রার্থী বিবেচনাই করবেন না।

প্রযুক্তিগত দক্ষতা ছাড়া মানবিক গুণগুলোর গুরুত্বও তুলে ধরেছেন রসলানস্কি। তিনি বলেন, শুধু চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলতে জানা যথেষ্ট নয়। যোগাযোগ, সহমর্মিতা ও অভিযোজনক্ষমতার মতো মানবিক গুণ ভবিষ্যতেও ক্যারিয়ার সফলতার মূল চাবিকাঠি হয়ে থাকবে। আমার বিশ্বাস, মানুষের এই গুণগুলোই হবে গোপন অস্ত্র। সহানুভূতি, যোগাযোগ, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা—এসব ভুলে যাওয়া চলবে না। যেকোনো পেশায় সফল হতে এগুলোর বিকল্প নেই।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুনছাঁটাই লিংকডইনেও, চাকরি হারালেন ২৮১ জন০৩ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি পেতে এআইতে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ লিংকডইনের প্রধান নির্বাহীর

নামকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি একসময় ভালো চাকরির নিশ্চয়তা দিত। এখন সেই সময় শেষ। অন্তত এমনটাই মনে করেন পেশাজীবীদের জনপ্রিয় নেটওয়ার্কিং মাধ্যম লিংকডইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রায়ান রসলানস্কি। তিনি তরুণদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজার এখন দ্রুত বদলে যাচ্ছে। এখন নিয়োগদাতারা ডিগ্রির চেয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে দক্ষতা–সম্পর্কিত জ্ঞান ও অভিযোজনক্ষমতাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর তাই নামী প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রির পেছনে না ছুটে বাস্তব জ্ঞান ও শেখার মানসিকতার ওপর জোর দিতে হবে।

সম্প্রতি ‘ফায়ারসাইড চ্যাট’ নামের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে রসলানস্কি জানান, ভবিষ্যতের কর্মজগৎ হবে তাঁদের জন্য, যাঁরা দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। এআই বিপ্লব নিয়োগপ্রক্রিয়াকে নতুনভাবে গড়ে তুলছে। এখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানগুলো এমন কর্মীদের খুঁজছে, যাঁরা দ্রুত নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে সক্ষম।

মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক জরিপেও চাকরিক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে জানা গেছে। জরিপের তথ্যমতে, বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭১ শতাংশ ব্যবসা প্রধান অভিজ্ঞ প্রার্থীর চেয়ে কম অভিজ্ঞ হলেও এআই–সম্পর্কিত দক্ষ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আগ্রহী। এমনকি ৬৬ শতাংশ নিয়োগদাতা বলেছেন, এআই–সম্পর্কিত দক্ষতা না থাকলে তাঁরা প্রার্থী বিবেচনাই করবেন না।

প্রযুক্তিগত দক্ষতা ছাড়া মানবিক গুণগুলোর গুরুত্বও তুলে ধরেছেন রসলানস্কি। তিনি বলেন, শুধু চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলতে জানা যথেষ্ট নয়। যোগাযোগ, সহমর্মিতা ও অভিযোজনক্ষমতার মতো মানবিক গুণ ভবিষ্যতেও ক্যারিয়ার সফলতার মূল চাবিকাঠি হয়ে থাকবে। আমার বিশ্বাস, মানুষের এই গুণগুলোই হবে গোপন অস্ত্র। সহানুভূতি, যোগাযোগ, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা—এসব ভুলে যাওয়া চলবে না। যেকোনো পেশায় সফল হতে এগুলোর বিকল্প নেই।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুনছাঁটাই লিংকডইনেও, চাকরি হারালেন ২৮১ জন০৩ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ