পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশের তালিকায় থাকা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে হত্যায় জড়িত দুই জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় তারিক সাইফ মামুনকে। গুলির ঘটনার সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তখন দুই ব্যক্তি খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করছেন। ঘটনাটি তিন থেকে চার সেকেন্ডের। গুলি করার পর দুই ব্যক্তি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে জানান, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে দুই জনকে আটক করেছে। তবে তিনি তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করেননি। বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মামুন হত্যার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

আরও পড়ুনখুনের মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে খুন হন মামুন১০ নভেম্বর ২০২৫

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মামুন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন একাধিক সন্ত্রাসী। তাঁদের মধ্যে ‘ভাইগ্না রনি’, ফারুক, কামাল ও জসিম নামের চারজন রয়েছেন। এর বাইরেও একাধিক ব্যক্তি এ হত্যায় জড়িত। তাঁরা সবাই বিভিন্ন সময় দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের হয়ে খুনসহ নানা অপরাধমূলক কাজে অংশ নেন। তাঁরা থাকেন মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায়।

আরও পড়ুনপুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন, বলছে পুলিশ১০ নভেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সন ত র স প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

চুনারুঘাটে অপারেশন ক্লিনহার্ট, ইউপি মেম্বার গ্রেপ্তার

অপারেশন ক্লিনহার্ট অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. সালেক মিয়া (৩৮) গ্রেপ্তার হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ গাজীপুর ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তা করে।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লা থেকে আলোচিত মামুন হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

সুড়ঙ্গে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হলো না যুবলীগ নেতার

সালেক মিয়া গাজীপুর ইউনিয়নের বাসুল্লা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি। এর আগে, তিনি বৈষম্যবিরোধী এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে সালেক মিয়া আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠেন ও আগামী ১৩ নভেম্বর  কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচী বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি মিছিলের আয়োজনের পায়তারা করছিলেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “অপারেশন ক্লিনহার্ট অভিযানের আওতায় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ যদি নাশকতা, ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। আইন নিজের গতিতে চলবে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ