চাল বিতরণে অনিয়ম করায় চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন মুকুল ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান-১) খলিল মিজিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহসীন উদ্দিন। 

আরো পড়ুন:

ধর্ষিত শিশুর স্বজনের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা চিকিৎসক বরখাস্ত

শোকজের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করার দাবি ইবি অধ্যাপকের

জানা যায়, অভিযুক্তরা ভিজিএফ চাল জনপ্রতি ৮০ কেজির স্থলে ৭০ কেজি করে বিতরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক প্রয়োজনী ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখায় পত্র প্রেরণ করেন। পরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উপ-সচিব মো.

নূরে আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাদের সামায়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতার প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন মুকুল ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান-১) খলিল মিজিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহসীন উদ্দিন বলেন, “যেখানেই ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতি পাওয়া যাবে, সেখানেই ব্যবস্থা নিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

তবে বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান ও সদস্যের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/অমরেশ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত বরখ স ত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

লিও তলস্তয়ের গ্রামে

আমি এখন যে গ্রামে এসেছি, সেই গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা নাম গ্রামটির। এটি আসলে তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তিনি জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’ এবং অসংখ্য গল্প।

তলস্তয়কে আইন পড়তে কাজান শহরে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পড়তে তাঁর ভালো লাগেনি। জমিদারি ছিল, তাই রোজগারের চিন্তাও করতে হয়নি। মাঝখানে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আট বছর মস্কোতে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করেছিলেন।

লিও তলস্তয় শেষ জীবনে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। একসময় গৃহত্যাগ করেছিলেন। ১৯১০ সালে ৮২ বছর বয়সে আস্তাপোভো রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে একাকী, আত্মীয়, বন্ধু থেকে দূরে, নীরবে তিনি দেহত্যাগ করেন। এরপর তাঁকে ইয়াস্নায়া পলিয়ানায় এনে সমাহিত করা হয়।

ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে আমি যখন পৌঁছালাম, তখন রোদ ঝলমল করছে। গত কয়েক দিন খুব বৃষ্টি পড়েছে মস্কো শহরে। মস্কো থেকে আমাকে পাড়ি দিতে হয়েছে ২২০ কিলোমিটার। সরাসরি মস্কো থেকে তলস্তয়ের গ্রামে আসার কোনো ট্রেন বা বাস নেই। আমাকে ট্রেনে করে আসতে হয়েছে প্রথমে তুলা শহরে৷

ট্রেনে করে আসার পথে রাশিয়ার সবুজ গ্রামের যে রূপ আমি দেখেছি, তার তুলনা হয় না। পথের পাশে ফুটে আছে হলুদ বুনো ফুল আর হঠাৎ হঠাৎ করে একটা বা দুটো দোচালা বাড়ি। মাঝে পড়ে গেল একটা নদী, আবার এসে গেল ঘন সবুজ জঙ্গল। এমন অসামান্য প্রকৃতি যে দেশের আছে, সে দেশের প্রতি এমনিতেই মায়া জন্মে যায়।

রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তলস্তয় জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’।মাঝখানে ধূসর লম্বা পথ আর দুপাশে ঘন বনানী

সম্পর্কিত নিবন্ধ