কারণ ছাড়াই বাড়ছে ৪ কোম্পানির শেয়ারদর
Published: 8th, October 2025 GMT
কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা কারণ ছাড়াই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানিগুলো হলো- জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসি, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড ও প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড ও সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, গত ৩০ সেপ্টেম্বর জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসি এবং ৬ অক্টোবর প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সিএসই চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি চারটির কর্তৃপক্ষ সিএসইকে জানিয়েছে, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে।
জেনেক্স ইনফোসিসের গত ২১ সেপ্টেম্বর শেয়ার দর ছিল ২৩.
সোনালী পেপারের গত ২১ সেপ্টেম্বর শেয়ার দর ছিল ২৪৯.২০ টাকায়। আর গত ৭ অক্টোবর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৯৫.৩ টাকায়। ১৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪৬.১০ টাকা বা ১৮.৫০ শতাংশ।
সামিট অ্যালায়েন্সের গত ৯ সেপ্টেম্বর শেয়ার দর ছিল ৩১.১০ টাকায়। আর গত ৭ অক্টোবর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৪.১০ টাকায়। ১৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৩ টাকা বা ৪১.৮০ শতাংশ।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গত ২২ সেপ্টেম্বর শেয়ার দর ছিল ৫৭.৩০ টাকায়। আর গত ৭ অক্টোবর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৮০.৭০ টাকায়। ১৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪০.৮৪ টাকা বা ৪৩ শতাংশ।
এভাবে কোম্পানিটিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিবিরের ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল। আজ বেলা পৌনে দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রদলের অভিযোগ, ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবনে (নতুন কলা ভবন) গিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। শ্রেণিকক্ষের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে প্রায় ২০ মিনিট ধরে ইতিহাস বিভাগের ৩২৩ নম্বর কক্ষে প্রচারণা চালানো হয়। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
অভিযোগ জানানোর সময় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান; চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শাফায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনী আচরণবিধিমালার ৪–এর ‘ঙ’ বিধিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ফ্যাকাল্টিতে যেখানে ক্লাস-পরীক্ষা হয় সেখানে কিংবা আশপাশে সভা-সমাবেশ করা যাবে না। ক্লাস-পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ, যেমন কোনো ধরনের সাউন্ড সিস্টেম বা মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সেদিকে সকল প্রার্থী বা তার সমর্থকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রশিবির প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক প্রধান মনির উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আচরণবিধি দেখাশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক কমিটি রয়েছে। তাঁদের কাছে লিখিত অভিযোগটি হস্তান্তর করা হবে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের শাখা সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইব্রাহীম প্রচারণা চালাতে ইতিহাস বিভাগে যাননি। নিজ বিভাগ হওয়ায় জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছেও অভিযোগ রয়েছে একটি প্যানেলের প্রার্থীরা শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে প্রচারণা চালিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানাব।’
ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটি নির্বাচন কমিশনে যে কেউ জানাতে পারে। আমার কাছে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যাখ্যা চাইলে আমি জবাব দেব।’