লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা
Published: 10th, October 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ঘরে ঢুকে মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চণ্ডীপুর ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামের খামারবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫) ও মেয়ে তানহা মীম (২০)। তানহা রামগঞ্জ মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মা-মেয়ে নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলার কক্ষে ছিলেন। এ সময় ঘরে ঢুকে তাঁদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে এক কক্ষের মধ্যে গলা কেটে মা মেয়েকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
নিহত জুলেখার বড় ছেলে ফরহাদ হোসেন জানান, তিনি বাবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে আসেন। এসে দেখেন নিচতলার দরজা খোলা এবং ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো। তিনি মাকে ডাকতে ডাকতে দ্বিতীয় তলায় ওঠেন। মায়ের কক্ষের দরজা খুলে দেখেন, মা ও বোনের রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে পড়ে আছে।
জানতে চাইলে রায়পুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক বলেন, ঘটনার পর পুলিশের কয়েকটি দল ওই গ্রামে অবস্থান করছে। কী কারণে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে, তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের ঘোষণা ইসরায়েলের
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। সেনারা এখন চুক্তিতে সম্মত মোতায়েনের লাইনে ফিরে গেছে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর থেকে সেনারা ‘নতুন মোতায়েনের লাইন বরাবর নিজেদের অবস্থান নিতে শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “দক্ষিণ কমান্ডের আইডিএফ সেনাদের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং যেকোনো তাৎক্ষণিক হুমকি অপসারণ অব্যাহত রাখবে।”
বর্তমানে গাজা উপত্যকার ৫৩ শথাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আইডিএফ। এই অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগই নগর অঞ্চলের বাইরে পড়ে।
গাজায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিশরের শার্ম আল শেখে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন দিনের পরোক্ষ আলোচনা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়। এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মি এবং ২৮ জনের মৃতদেহ ফেরত দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। শুক্রবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এরপর থেকেই গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে ইসরায়েল।
ঢাকা/শাহেদ