আজ বিশ্ব ডিম দিবস। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ‘আইইসি ভিয়েনা কনফারেন্স’ থেকেই এই ডিম দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী চলছে একটি ইতিবাচক ক্যাম্পেইন। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের প্রয়োজনীয়তার বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
দেশে ‘শক্তি ও পুষ্টিতে ভরপুর ডিম’ স্লোগান সামনে রেখে সরকারি-বেসরকারিভাবে পালিত হচ্ছে দিবসটি। পোল্ট্রি খাতের বৃহৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিপিআইসিসি এবং ওয়াপসা- বাংলাদেশ শাখার যৌথ আয়োজনে আজ বিশ্ব ডিম দিবস পালন করা হবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে, ‘‘পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং সুস্বাস্থের জন্য প্রতিটি মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া দরকার।’’
আরো পড়ুন:
আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
শহরে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার অনেক দুর্বল: স্বাস্থ্য সচিব
প্রণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, ‘‘এখন গড়ে প্রতিটি মানুষের জন্য ১৩৭টি ডিমের সহজলভ্যতা রয়েছে।’’
আজ বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড এগ অর্গানাইজেশন (WEO) ও ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের (IEC) উদ্যোগে বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজন করা হয়েছে। কানাডায় এ বছর খামারিদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে জাতীয়ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। দিবসটি সামনে রেখে ফ্রান্সে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লক্ষ্যমাত্রায় ২০৩১ সাল নাগাদ ডিমের মাথাপিছু ভোগ ১৬৫টি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ২০৮টিতে উন্নীত করার লক্ষ্য নেওয়া রয়েছে।
একটি মাঝারি আকারের ডিমে ক্যালরি থাকে প্রায় ৭৮, প্রোটিন থাকে প্রায় ৬-৬.
ডিমে থাকা প্রোটিন শিশুদের মাংসপেশি ও টিস্যু গঠনে সহায়তা করে এবং হাড় ও দাঁত শক্ত রাখে। মস্তিষ্কের টিস্যু গঠন ও মেধাবিকাশে ডিমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ডিম রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায় ও চোখের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। ডিম ভিটামিন ডি এর একটি উৎস, যা হাড় মজবুত রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডিম খেলে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ভালো থাকে। ডিম উচ্চমানের প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস, যা শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের ঘোষণা ইসরায়েলের
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। সেনারা এখন চুক্তিতে সম্মত মোতায়েনের লাইনে ফিরে গেছে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর থেকে সেনারা ‘নতুন মোতায়েনের লাইন বরাবর নিজেদের অবস্থান নিতে শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “দক্ষিণ কমান্ডের আইডিএফ সেনাদের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং যেকোনো তাৎক্ষণিক হুমকি অপসারণ অব্যাহত রাখবে।”
বর্তমানে গাজা উপত্যকার ৫৩ শথাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আইডিএফ। এই অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগই নগর অঞ্চলের বাইরে পড়ে।
গাজায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিশরের শার্ম আল শেখে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন দিনের পরোক্ষ আলোচনা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়। এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মি এবং ২৮ জনের মৃতদেহ ফেরত দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। শুক্রবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এরপর থেকেই গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে ইসরায়েল।
ঢাকা/শাহেদ