বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর বাজার একটি দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প। ২০২৪ সালে এই শিল্পের আকার ছিল প্রায় ৬২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের। এই শিল্পের বাজার ২০৩০ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন ‍= ১ লাখ কোটি) ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তির মধ্যে রয়েছে এআই, ফাইভ–জি নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ, মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন খাতের ক্রমবর্ধমান গ্রহণ। বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতে দক্ষ বিশেষজ্ঞ ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্প উপযোগী কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য আজ রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে উল্কাসেমি ভিএলএসআই ট্রেনিং ইনিস্টিউট (ইউভিটিআই)। দেশের তরুণ প্রকৌশলীদের বিশ্বমানের চিপ ডিজাইন দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে তুলবে ইউভিটিআই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘উল্কাসেমি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক জ্ঞান ও গবেষণার কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অনেকবার ভিএলএসআই প্রশিক্ষণের কাজ করেছি। কিছু বাধার জন্য কাজটি ধীর হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফ্যাবল্যাব তৈরির কাজ করছি। সেটি দ্রুত শেষ হবে। আমরা সব আধুনিক প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে বুয়েটে ফ্রন্টিয়ার্স টেকনোলজি সেন্টার চালুর কাজ করছি। এই সেন্টারে ভিএলএসআইসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা ১৮টি ল্যাব তৈরির জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার কাজ করছি। আমরা সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প খাতকে যুক্ত করে একটি ইকোসিস্টেম তৈরির কাজ করছি। উল্কাসেমির প্রশিক্ষণকেন্দ্র আমাদের প্রকৌশলীদের দক্ষতা বাড়াবে বলে আশা করছি।’

ভিএলএসআই বা ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে একটি একক চিপে লাখ লাখ ট্রানজিস্টর স্থাপন করে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) তৈরি করা হয়। অনুষ্ঠানে উল্কসেমির কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পরিচালন কর্মকর্ত (সিওও) মিজান রহমান। তিনি বলেন, ইউভিটিআই সেমিকন্ডাক্টর নকশায় ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেবে তারা। এরপর তিন মাস প্রশিক্ষণ পাবে উল্কাসেমিতে।

স্বাগত বক্তব্যে উল্কাসেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই শিল্পে ১৮ বছর ধরে কাজ করছি। বাংলাদেশে দক্ষ জনবল তৈরিতে এই ভিএলএসআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করছি আমরা। এই ট্রেনিং সেন্টার শুধু কর্মসংস্থান নয়, চিপ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে দেশের কর্মবাজার বড় করবে। উল্কাসেমিতে আমরা ১০ ধরনের চিপ ডিজাইন করতে পারি।’

উল্কাসেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নিয়মিত সেমিকন্ডাক্টর–সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ চালু হবে। উল্কাসেমি দেশের তরুণ প্রকৌশলীদের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তিসক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই কেন্দ্র চালু করেছে। বিশ্বের প্রায় আটটি দেশে কাজ করছে উল্কাসেমি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ক জ করছ র ক জ কর উল ক স ম র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সেমিকন্ডাক্টরের জন্য দেশে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু

বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর বাজার একটি দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প। ২০২৪ সালে এই শিল্পের আকার ছিল প্রায় ৬২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের। এই শিল্পের বাজার ২০৩০ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন ‍= ১ লাখ কোটি) ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তির মধ্যে রয়েছে এআই, ফাইভ–জি নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ, মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন খাতের ক্রমবর্ধমান গ্রহণ। বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতে দক্ষ বিশেষজ্ঞ ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্প উপযোগী কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য আজ রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে উল্কাসেমি ভিএলএসআই ট্রেনিং ইনিস্টিউট (ইউভিটিআই)। দেশের তরুণ প্রকৌশলীদের বিশ্বমানের চিপ ডিজাইন দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে তুলবে ইউভিটিআই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘উল্কাসেমি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক জ্ঞান ও গবেষণার কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অনেকবার ভিএলএসআই প্রশিক্ষণের কাজ করেছি। কিছু বাধার জন্য কাজটি ধীর হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফ্যাবল্যাব তৈরির কাজ করছি। সেটি দ্রুত শেষ হবে। আমরা সব আধুনিক প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে বুয়েটে ফ্রন্টিয়ার্স টেকনোলজি সেন্টার চালুর কাজ করছি। এই সেন্টারে ভিএলএসআইসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা ১৮টি ল্যাব তৈরির জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার কাজ করছি। আমরা সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প খাতকে যুক্ত করে একটি ইকোসিস্টেম তৈরির কাজ করছি। উল্কাসেমির প্রশিক্ষণকেন্দ্র আমাদের প্রকৌশলীদের দক্ষতা বাড়াবে বলে আশা করছি।’

ভিএলএসআই বা ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে একটি একক চিপে লাখ লাখ ট্রানজিস্টর স্থাপন করে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) তৈরি করা হয়। অনুষ্ঠানে উল্কসেমির কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পরিচালন কর্মকর্ত (সিওও) মিজান রহমান। তিনি বলেন, ইউভিটিআই সেমিকন্ডাক্টর নকশায় ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেবে তারা। এরপর তিন মাস প্রশিক্ষণ পাবে উল্কাসেমিতে।

স্বাগত বক্তব্যে উল্কাসেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই শিল্পে ১৮ বছর ধরে কাজ করছি। বাংলাদেশে দক্ষ জনবল তৈরিতে এই ভিএলএসআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করছি আমরা। এই ট্রেনিং সেন্টার শুধু কর্মসংস্থান নয়, চিপ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে দেশের কর্মবাজার বড় করবে। উল্কাসেমিতে আমরা ১০ ধরনের চিপ ডিজাইন করতে পারি।’

উল্কাসেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নিয়মিত সেমিকন্ডাক্টর–সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ চালু হবে। উল্কাসেমি দেশের তরুণ প্রকৌশলীদের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তিসক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই কেন্দ্র চালু করেছে। বিশ্বের প্রায় আটটি দেশে কাজ করছে উল্কাসেমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ