প্রতারণা করে ৩৪ গ্রাহকের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আগামীকাল বুধবার তাঁর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক জাকির হোসেন জানিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান মোড়ল আজ রিপন মিয়াকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে খিলক্ষেত থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০০ ফিট এলাকা থেকে রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতারণা করে ৩৪ গ্রাহকের ১ কোটি ৩০ লাখ ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সুজন মিয়া নামের একজন তাঁর বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩০ মে থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে তাঁরা ৩৪ জন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলসহ নানা পণ্য কেনার জন্য টাকা দেন। শর্ত অনুযায়ী ৭ থেকে ৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে মোটরসাইকেল ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও পণ্য বা টাকা ফেরত দেয়নি কিউকম। অফিসে যোগাযোগ করেও তাঁরা সাড়া পাননি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললে তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।

এ মামলায় গত ১১ আগস্ট গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন প্রতিষ্ঠানটির জিএম অ্যান্ড হেড অব অফিসার মোহাম্মদ আমানউল্লাহ খান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ৬০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের পটিয়ায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ৬০ হাজার ইয়াবা বড়ি, প্রায় আড়াই লাখ টাকাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাও রয়েছেন। গত শনিবার তিনি গ্রেপ্তার হন।

গ্রেপ্তার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার নাম মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (৪১)। তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ‘খ’ সার্কেলের পটিয়ার মুজাফ্ফরাবাদ কার্যালয়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর থানার মো. আবদুল মতিনের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, পটিয়া থানা এলাকায় টহলরত র‍্যাব সদস্যরা জানতে পারেন, কক্সবাজার থেকে দুটি মাইক্রোবাসে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বড়ি চট্টগ্রামে নেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার খরনা এলাকায় কাদের এলপিজি ফিলিং স্টেশনের সামনে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। তবে তল্লাশিচৌকি দেখে পালানোর চেষ্টাকালে প্রথমে একটি মাইক্রোবাস আটক করা হয়। পরে অন্য মাইক্রোবাসটিও আটক করা হয়।

অভিযানে আবদুল্লাহ আল মামুনের প্যান্টের পকেট থেকে ১০টি ইয়াবা বড়ি; ১টি ওয়াকিটকি সেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত কোটি ও ক্যাপ এবং গাড়ির ভেতর থেকে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হয়েছে অপর মাইক্রোবাসটির চালকের আসনের নিচ থেকে।

গ্রেপ্তার অপর চারজন হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের মো. ফিরোজের ছেলে মো. মাঈনুদ্দীন (৩০), চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার পূর্ব হাবিবুরপাড়ার মো. রাশেদুল আলম (৩৮) ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার মো. জসিম উদ্দিন (৪১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মো. জুনায়েদ তানভীর তরফদার (২৯)। এ ছাড়া অভিযানের সময় একটি মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে গেছেন।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় গত রোববার পটিয়া থানায় একটি মামলা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজন ছাড়াও পলাতক চালককে মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে। র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার করা ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুনকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পটিয়া থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া দুটি মাইক্রোবাসের মধ্যে একটির মালিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের মালিকানাধীন। পলাতক আসামি সেই মাইক্রোবাসের চালক। গ্রেপ্তার আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম
  • মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ৬০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নিখোঁজ
  • মিষ্টির শিরায় তেলাপোকা, চট্টগ্রামে নামী দোকানকে জরিমানা