সৌরজগতের বাইরে থাকা শীতলতম গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 3rd, May 2025 GMT
মৃত এক নক্ষত্রের কক্ষপথে শীতলতম এক্সোপ্ল্যানেটের (সৌরজগতের বাইরে থাকা গ্রহ) সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহটি এখন পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া শীতলতম এক্সোপ্ল্যানেট বলে দাবি করেছেন তাঁরা। নতুন এই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ডাব্লিউডি ১৮৫৬বি। এটি একটি দৈত্যকার গ্রহ। প্রতিদিন গ্রহটি মাত্র দেড় ঘণ্টায় সাদা বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৮১ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্রহটির তাপমাত্রা মাইনাস ১২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মিড-ইনফ্রারেড প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গ্রহটির সন্ধান পাওয়া গেছে। সাদা বামন ধরনের একটি মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে গ্রহটি। পৃথিবী থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা সবচেয়ে ঠান্ডা গ্রহ এটি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী মেরি অ্যান লিম্বাচ বলেন, আমরা সবাই কিছুটা অবাক হয়েছি। এই গ্রহ বেশ ঠান্ডা।
এত দিন সবচেয়ে ঠান্ডা এক্সোপ্ল্যানেট হিসেবে পরিচিত ছিল এপসিলন ইন্ডি আব। সেই গ্রহের তাপমাত্রা প্রায় ৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতুন গ্রহটির ভর বৃহস্পতির ভরের চেয়ে ছয় গুণ বেশির কম। এটি প্রতি ১ দশমিক ৪ দিনে একবার সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রের অবশিষ্টাংশের কেন্দ্রস্থলকে প্রদক্ষিণ করছে।
ডাব্লিউডি ১৮৫৬বি গ্রহটি এমন এক অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে গ্রহকে নক্ষত্র একপর্যায়ে গ্রাস করে ফেলে। আর তাই নক্ষত্রটি গ্রহের উপরে কেমন প্রভাব ফেলে তা জানতে আরও গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ রহট
এছাড়াও পড়ুন:
মেসের বারান্দার গ্রিলে ঝুলছিল শিশুর লাশ
নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি আবাসিক মেস থেকে ইয়াছিন হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে মেসের বারান্দার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ইয়াছিনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। সে নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের ১৫ দিন পর এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে নাটোর শহরের আলাইপুরে এক কারখানায় কাজে আসে ইয়াছিন। কিছুদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে যেতে পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ইয়াছিন। কিন্তু, ব্যর্থ হয়। মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গত দুদিন ধরে কান্নাকাটি করছিল শিশুটি। বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সকালে কাজের বুয়া রান্না করতে এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে ইয়াছিনের মরদেহ ঝুলছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ইয়াছিনের সহকর্মী স্বপন বলেন, ‘‘বাড়ি যাওয়ার জন্য ইয়াছিন কান্নাকাটি করছিল। তার বাবা-মাকে ফোন করছিল, কিন্তু তারা মোবাইল রিসিভ করেনি। সকালে কাজ থেকে খাবার খেতে মেসে আসি। সবাই ভাত খেলেও ইয়াছিন খায়নি। খাবার শেষে আমরা আবার কাজে চলে যাই। পরে মেসের খালা এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে তার মরদেহ ঝুলছে।’’
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব