নাভিদ হাসান 

বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে উঠতে যাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাতানো হামজা দেওয়ান চৌধুরীর। ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই। দেশের ফুটবল পাগল দর্শকদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কবে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামবেন লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার? জামাল ভূঁইয়াদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী মার্চে। সেই ম্যাচে কি হামজাকে দেখা যাবে মাঠে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছ থেকে। তবে আশার প্রদীপ হয়ে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি! যেখানে হামজা ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা মিললো সদ্য নির্বাচিত বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়ালের।

তাবিথ এই মুহূর্তে লন্ডনে অবস্থান করছেন। গতরাতে (১৫ জানিয়ারি ২০২৫) তিনি হামজার খেলা দেখতে ২ ঘন্টা দূরত্বের লেস্টার সিটির কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন।  সেখানে স্বাগতিকরা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মোকাবেলা করেছে ক্রিস্টাল প্যালেসের। ম্যাচটা খেলা হয়নি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের প্রবাসী ফুটবলার হামজার। তবে খেলা শেষে তার সাক্ষাৎ ঠিকই পেয়েছেন তাবিথ। সঙ্গে আরও ছিলেন বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য ইমতিয়াজ হামিদ সবুজও।

আরো পড়ুন:

লেস্টার সিটির হামজা এখন বাংলাদেশের

এক বছর পর ফুটবলে ফিরেই বাংলাদেশকে হারালো মালদ্বীপ

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামী ২৫ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামবে। সেই ম্যাচ দিয়েই লাল-সবুজের জার্সিতে হামজার অভিষেক হওয়ার কথা। গতকাল বাফুফে সভাপতি সৌজন্য সাক্ষাতে সেই ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে সামান্য আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে হামজার লেস্টার ছেড়ে শেফিল্ড ইউনাইটেডে যাওয়ার একটা জোর গুঞ্জণ আছে ইউরোপের দল বদলের বাজারে।  যদি তেমনটাই হয় তবে ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে হামজা বাফুফেকে তার সূচি জানাতে পারবেন কয়েক দিনের মধ্যে।
গতরাতে হামজার বাবা-মাও লেস্টারের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। খেলা শেষে বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে হামজা ও তার পরিবার নৈশভোজে অংশ নেন। বাংলাদেশের ফুটবল ও বাংলাদেশ নিয়ে হামজার আন্তরিকতায় মুগ্ধ বাফুফে কর্তারা। 
 
 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ