নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদকালে রেকর্ড সংখ্যক অপরাধীকে ক্ষমা করলেও নিজেকে ক্ষমা করেননি। সকালে ফক্স নিউজে প্রচারিত একটি রেকর্ডকৃত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এবং শন হ্যানিটি বাইডেনের ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, বাইডেন তার মেয়াদে বেশ কিছু আগাম ক্ষমা প্রদান করেছেন, যার মধ্যে তার পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাও রয়েছেন। এ বিষয়ে বাইডেন বলেছিলেন, যে তারা (পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা) হোয়াইট হাউসের নতুন প্রশাসনের দ্বারা অত্যাচারিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। খবর বিবিসির।

জো বাইডেনের ক্ষমা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, মজার বিষয়, অথবা দুঃখজনক বিষয় হলো, তিনি নিজেকে ক্ষমা করেননি।

তিনি আরও বলেন, বাইডেনের সময় অনেক মানুষ ক্ষমা ভিক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। ক্ষমার প্রয়োজন এমন আরও লোক ছিলো কিন্তু তাদের অনেককেই বাইডেন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হ্যানিটি প্রশ্ন করেন, বাইডেনের এই আগাম ক্ষমাগুলো নিয়ে কংগ্রেসের কি কোনো তদন্ত শুরু করা উচিত কি না। 

তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প কোনো উত্তর দেননি।

ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি তার প্রথম মেয়াদের পরে নিজেকে কখনো ক্ষমা করেননি এবং তার পরিবারের সদস্যদেরও ক্ষমা প্রদান করেননি। তবে পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ২৩৭টি প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অহিংস অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৩৯ মার্কিন নাগরিককে প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে দেড় হাজার অপরাধীর সাজা কমিয়েছেন। হোয়াইট হাউস এই ক্ষমাকে ‘একদিনে সর্বোচ্চ ক্ষমা’র রেকর্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, অভিশংসনের ক্ষেত্র ছাড়া দেশের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য ক্ষমা ও ছাড় দেওয়ার ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে প্রেসিডেন্টের।

গত বছর বাইডেন তার ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করেন, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টদের নিকটাত্মীয়দের ক্ষমা করার একটি প্রবণতা তৈরি হলো। চলতি বছরের প্রথম দিকে বাইডেন আরেকটি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি সামরিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে যৌন অভিযোগে সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন র কর ড অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ