৯ দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 27th, January 2025 GMT
নয় দফা দাবি আদায়ে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, এক মাসের মধ্যে ছাত্র সংসদের নীতিমালা প্রণয়ন করে সময়সূচি ঘোষণা করতে হবে; ক্রেডিট ফি ৭৫-৮০ টাকা করে নোটিশ জারি করতে হবে; সেশনজট নিরসনে রোডম্যাপ দিতে হবে এবং বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে; লাইব্রেরির মুজিব কর্ণারকে জব কর্ণার করে চাকরির বিভিন্ন বই দিতে হবে।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, আগামীকাল থেকে গোপালগঞ্জ বাসস্টপেজ চালু করতে হবে; হামলাকারীদের বিচার আগামী সাতদিনের মধ্যে করতে হবে; ১ মাসের মধ্যে টিএসসি থেকে ব্যাংক অপসারণ করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে; শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট দ্রুত নিরোসন করতে হবে।
কৃষি অনুষদের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো.
তিনি বলেন, “৫ আগস্টের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে দেখিনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে যখন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের পুলিশের হাতে ধরে দিতে গেছি, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের সুরক্ষা দিতে আসে। শিক্ষকরা আলোচনা করছেন, দেখি কি সিদ্ধান্ত দেন। যদি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না হয় এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানা হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
ইংরেজি ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ফাইজ বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকেই উপাচার্য বরাবর বিভিন্ন দাবি জানিয়ে এসেছি। তন্মধ্যে শুধু বাস শিডিউল পরিবর্তনের দাবি মানা হয়েছে। আর কোন দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। ফলে আজ আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।”
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম এমদাদুল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়েরও চাওয়া। আমরা চেষ্টা করব, দ্রুত তাদের দাবি বাস্তবায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে।”
পরবর্তীতে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আলোচনা সভা চলছিল।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৫ আগস ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ
বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।
মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে।