বাগেরহাটে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি সংসদীয় আসন কমানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে গঠিত সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। আজ শনিবার বাগেরহাট শহরের দশানী মোড় থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলটি খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়ক হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বক্তব্য দেন বিভিন্ন দলের নেতারা।

বর্তমানে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন। নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এ সংখ্যা কমে হবে তিনটি। সীমানা নির্ধারণে গঠিত বিশেষায়িত কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন ও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের পর গত বুধবার প্রস্তাবের বিষয়টি জানানো হয়। এ খবর প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া দেখান জেলার বাসিন্দারা। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে সভা করে ইসির এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চারটি আসনই বহাল রাখার দাবিতে সর্বদলীয় কমিটি গঠন করে। ওই দিনই সংবাদ সম্মেলন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে সর্বদলীয় কমিটি।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন, জেলা বিএনপির সমন্বয়ক ও সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, খেলাফত মজলিসের সভাপতি আমিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দিন মোল্লা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি এস এম সাদ্দাম, এনসিপির আহ্বায়ক মোর্শেদ আনোয়ার প্রমুখ।

সমাবেশে বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশের শুরু থেকে বাগেরহাটে চারটি (সংসদীয়) আসন। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বাগেরহাট থেকে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেটাকেই যদি আপনি গাজীপুরে বেশি জনসংখ্যা হিসেবে দেখান, আর বাগেরহাটের জনসংখ্যা কম দেখান, তাহলে আমাদের আর লজ্জা রাখার কোনো জায়গা থাকবে না। যদি না বুঝে করে থাকেন, আমরা প্রতিবাদ জানালাম, দাবি জানালাম। আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিয়ে তিন আসনের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়ে চারটি আসন পুনর্বহাল করবেন।’

জেলা বিএনপির সমন্বয়ক ও সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘কী কারণে এই চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে, এর জবাব আমরা সিইসির কাছে চাই। আগামীকাল সকাল ১১টায় আবার আমরা বিক্ষোভ মিছিল করব এবং আমাদের প্রতিবাদলিপি জমা দেব ডিসি ও নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় অফিসে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব। প্রয়োজনে বাগেরহাটকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রস ত ব ব গ রহ ট ব এনপ র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর শেখ হাসিনা সরকারের ‘ছায়া’ দেখছেন আনু মুহাম্মদ

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের ‘ছায়া’ দেখছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরে শেখ হাসিনা সরকারের ছায়া দেখতে পাচ্ছি। সেই একই রকম স্বৈরতন্ত্র, একই রকম জনগণের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন, একই রকম বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হচ্ছে।’ সরকারের এই উল্টোযাত্রা চলতে থাকলে জনগণের দ্রোহযাত্রা অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ২ আগস্ট ঢাকার রাস্তায় প্রতিবাদী কর্মসূচি ‘দ্রোহযাত্রার’ বর্ষপূর্তি ছিল আজ শনিবার। এই দিনটি উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামোর বিলোপ, চব্বিশের গণহত্যাসহ পাহাড় ও সমতলের সব গণহত্যার বিচার এবং নব্য ফ্যাসিবাদী প্রবণতা প্রতিহতের’ আহ্বানে আজ বিকেলে ‘শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার দ্রোহযাত্রার’ আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, নারী, শ্রমিক ও ছাত্রসংগঠন এই আয়োজন করে। গত বছরের মতো আজকের দ্রোহযাত্রায়ও সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

‘শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার দ্রোহযাত্রার’ মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বের করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। ঢাকা, ২ আগস্ট

সম্পর্কিত নিবন্ধ