দিনাজপুরে জাপা থেকে পদত্যাগ করা সেই নেতা যোগ দিলেন জামায়াতে
Published: 12th, July 2025 GMT
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে পদত্যাগ করে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন এক নেতা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘোড়াঘাট উপজেলা জাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ রাজু আহমেদ জামায়াতের সহযোগী সদস্য ফরম পূরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।
জামায়াতের দিনাজপুর জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জামায়াতের ঘোড়াঘাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সেক্রেটারি আবদুর রহমানের কাছে সহযোগী সদস্য ফরম জমা দেন শেখ রাজু। তিনি দীর্ঘদিন ঘোড়াঘাট উপজেলা জাপার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব নেন। তবে গত বছর জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর রাজনীতির পালাবদলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা জাপার সভাপতি আরিফুজ্জামান রানার কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
জামায়াতে যোগদানের পর গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে শেখ রাজু লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলে যোগদান করে নিজেকে গর্বিত করলাম। দোয়া করবেন সকলে।’
এ বিষয়ে শেখ রাজু আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন স্বাধীনভাবে চলতে পারছে না। জি এম কাদের সাহেব যে কাজ করছেন, তা আগের জাপা নয়। জামায়াতের কার্যক্রম ও সংগঠন ভালো লেগেছে। আমি কোনো পদ-পদবি চাইনি, শুধু সহযোগী সদস্য হিসেবে আছি। বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের প্রতি আগে থেকেই অনীহা ছিল। তাদের রাজনীতি আমার পছন্দ নয়। আমি আমার বন্ধু জামায়াত নেতা আবদুর রহমানের মাধ্যমে দলে যোগ দিয়েছি।’
জামায়াতে ইসলামীর ঘোড়াঘাট উপজেলা শাখার আমির মোফাখখায়ের ইসলাম মোল্লা বলেন, শেখ রাজু আহমেদ সদস্য হয়েছেন, এটা সত্য; কিন্তু কীভাবে সদস্য হয়েছেন, তা তাঁর জানা নেই। জাতীয় পার্টির থানা পর্যায়ের এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার এভাবে জামায়াতে যোগদানের সুযোগ নেই।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘ ড় ঘ ট উপজ ল ইসল ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’