Samakal:
2025-07-12@11:31:00 GMT

মুক্তির মন্দির সোপান তলে

Published: 12th, July 2025 GMT

মুক্তির মন্দির সোপান তলে

যুগে যুগে আন্দোলন-সংগ্রামে গান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিবাদের ভাষাকে শক্তিশালী করতে এবং তা জনমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গানের ভূমিকা অতুলনীয়। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে যে গণঅভ্যুত্থান হলো, সেখানেও আমরা গানের শক্তিশালী ভূমিকা দেখি।

এ সময় নতুন-পুরোনো অনেক গান গাওয়া হয়েছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান আমলসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের দাবিতে যে গানগুলো প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল, সেগুলোর মধ্য থেকে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান চব্বিশের গণআন্দোলনে প্রেরণা-শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এর বাইরেও রচিত হয়েছে নতুন গান।

আমি ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান চলকালে অর্থাৎ ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গানের একটি সংকলন করছি। সে কাজটি করতে গিয়ে শতাধিক গানের সন্ধান পেয়েছি। তার মধ্যে অধিকাংশই র‍্যাপ। আমরা জানি, চব্বিশের আন্দোলনের অনুষঙ্গ হিসেবে একটা বিশাল অংশজুড়ে ছিল র‍্যাপ গান; যা বাংলাদেশে আন্দোলনের ইতিহাসে এক নতুন শক্তিশালী ধারার সংযোজন।

এ সময়ের গানগুলোয় দেশের তৎকালীন চলমান বিচারহীনতার সংস্কৃতি, সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ, পাহাড়ের আদিবাসীদের নিপীড়নের কথা, দ্রব্যমূল্য বাড়ার কথা, চাকরিহীন বেকারদের অবস্থা, গণস্বার্থবিরোধী উন্নয়নের কথা উঠে এসেছে। আওয়ামী শাসনামলে চারদিকে যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছিল, গানগুলোয় সেসব বিষয় উঠে এসেছে। উঠে এসেছে আওয়ামী লীগের ছাত্র ও যুব সংগঠনের নিপীড়নের কথা। হেলমেট পরে তারা কীভাবে যে কোনো আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য নিষ্ঠুর নৃশংস তাণ্ডব চালাত, তাও অনেক গানে বর্ণিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিজেদের দখলের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল। তাই কথায় কথায় আওয়ামী ন্যারেটিভ ও স্বার্থবিরোধী কিছু হলেই তাকে ‘রাজাকার’ বানিয়ে ফেলার যে সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ চালু করেছিল, জুলাই অভ্যুত্থান তার সমুচিত জবাব দিয়েছে। জুলাইয়ের গানগুলোয় মুক্তিযুদ্ধকে রিক্লেইম করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রচারিত গানগুলো মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রেরণা জুগিয়েছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ, হাসপাতালে গিয়ে আহতদের ওপর হামলায় জনমনে এমনিতেই অসন্তোষ জমাট বাঁধা ছিল। তারপর ১৬ জুলাই রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদসহ পাঁচজনকে হত্যা করার খবর দাবানলের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ ক্ষোভে, রাগে ফেটে পড়ে। ওই সময় ঘরে ঘরে তরুণরা ফুঁসে উঠছে। কখনও তারা রাজপথে নামছে, কখনও ফেসবুকে বাহাসে, গানে, লেখায় প্রতিবাদ করেছে। যখন দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখন একটা দারুণ শক্তির ঝড় নিয়ে ১৬ জুলাই হাজির হলো র‍্যাপার সেজানের ‘কথা ক’ গানটি। ফেসবুকের দেয়ালে, রাজপথের দেয়ালে এই কথা ভেসে বেড়াতে লাগল– ‘মারতে আইলে মাইরা দিবি, মুর্দা নাইলে জিন্দা/রাইত দেইখা ডরাইস না কেউ রাইতের পরেই দিনডা/জবান খুললেই জবান সিলাই, আর সিলাইবো কয়জনের/একজনে মা পইড়া গেলেও খাড়ায় যাইবো ছয়জনে/জন্ম লইসি মরতে, মরার ডর দেহাইস না আমাগো/এক সেজানে মরলেও লাখো সেজান কইবো কথা ক।’ র‍্যাপার হান্নান ‘আওয়াজ উডা’ গান গেয়ে গণঅভ্যুত্থানে গানের লড়াইকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন।

র‍্যাপ ঘরানার এমন বহু গানে সে সময়কার বাস্তবতা উঠে এসেছে। যেমন– ‘আমার দেশে নাই কেন আজ সত্য কথার ভার/কথা বললেই গলা চেপে ধরে, বলে তুই রাজাকার’ (রক্ত, আহমেদ শুভ); ‘আমার বাপ-মায় জানে কান্দন কয় কারে/আমার আত্মাও জানে মরণ কয় বারে/গিয়া আজরাইলরে ক আমার নামডা কি/আমি ১৮ কোটি শহীদ আবু সাঈদ’ (আবু সাঈদ, সিয়াম ফারদিন)।

কখনও অনেক স্লোগান পরপর জুড়ে দিয়ে তাতে সুর সংযোজন করে গান হয়েছে। কোনো গানে গ্রামীণ কেচ্ছা-কাহিনির প্রচলিত সুরে শহীদের আত্মত্যাগের কথা গীত হয়েছে। কোনো কোনো গান ইসলামী গজলের সুরে গাওয়া হয়েছে, শহীদের আত্মার শান্তি চেয়ে সেই মৃত্যুকে মহিমান্বিত করে গান হয়েছে। শহীদ মীর মুগ্ধর ‘পানি লাগবে পানি’ এই শব্দবন্ধকে কেন্দ্র করে গান রচিত হয়েছে। কোনো কোনো গানে সিনেমার জনপ্রিয় গানের সুর ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কোনো গান জারি গানের ঢঙে করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রচলিত আধুনিক সুর, রক গানের সুরে গীত হয়েছে অনেক গান।  র‍্যাপারদের বিশেষ ঢঙের গানগুলো তো রয়েছেই। কিছু এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সহযোগিতায় তৈরি গান প্রকাশিত হয়। দুয়েকটা গানে এআইয়ের উল্লেখ থাকলেও অন্যগুলোয় উল্লেখ নেই। তবে গানের ধরন, কিছু ক্ষেত্রে শব্দের উচ্চারণের ধরন, সংগীতায়োজন, উপস্থাপন– সবকিছু মিলিয়ে ধারণা করা যায়, তা এআই দ্বারা নির্মিত। সময়ের প্রয়োজনের বিবেচনায় এ গানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক: শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য জ ল ই অভ য ত থ ন গণঅভ য ত থ ন ত হয় ছ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাকে গড়ে ২১% শুল্ক আদায়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করা দেশগুলোর ওপর এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। যদিও এখনো নতুন করে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৫ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে দেশটিতে। এই রপ্তানির ওপর থেকে মোট ১১ কোটি ৫৯ লাখ ডলার শুল্ক আদায় করেছে দেশটি। গড়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ২১ শতাংশ হারে। অথচ ২০২৪ সালে বাংলাদেশের পোশাকপণ্য থেকে গড়ে ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ শুল্ক আদায় করেছিল দেশটি। 

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আদায়সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ১০ ডলারের একটি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নেওয়ার জন্য গড়ে ১ দশমিক ৬৭ ডলার শুল্ক দিতে হতো। চলতি বছরের একই সময়ে একই মূল্যের পণ্যে শুল্ক দিতে হয়েছে ২ দশমিক ১১ ডলার। আগামী ১ আগস্ট থেকে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে তা আরও বাড়বে। 

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও পণ্যভেদে ভিন্ন ভিন্ন হারে শুল্ক রয়েছে। তবে মোট শুল্ক–কর আদায়ের ভিত্তি ধরে গড়ে কত শুল্ক আদায় হয়, তা নির্ধারণ করা যায়। এই হার সব সময় একই থাকে না। তবে শুল্ক–কর পরিবর্তন না হলে খুব বেশি পরিবর্তন হয় না। গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করা দেশগুলোর ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। পরে ৯ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে ২ এপ্রিল থেকে ন্যূনতম ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত শুল্ক বহাল রাখা হয়। 

নতুন করে পাল্টা শুল্ক আরোপ হলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আরও কমে যাবে। কারণ, অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক-কর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক নেওয়ার কথা নয়। এস এম আবু তৈয়ব, সভাপতি, আইবিএফবি

তিন মাসের স্থগিতাদেশ শেষে ৯ জুলাই থেকে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কার্যকরের কথা ছিল। তবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পাল্টা শুল্ক বাড়িয়ে-কমিয়ে নতুন করে নির্ধারণ করেন ট্রাম্প। এই নতুন শুল্কহার ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশের জন্য নতুন পাল্টা শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প।

কোন দেশে গড়ে কত শুল্ক আদায়

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে চীনের পোশাকপণ্য থেকে সবচেয়ে বেশি শুল্ক–কর আদায় করেছে দেশটি। মে মাসে চীন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এই পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র মোট শুল্ক–কর আদায় করেছে ৩৮ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চীনের পণ্য থেকে গড়ে ৭০ শতাংশ শুল্ক–কর আদায় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪ সালে চীনের পোশাক থেকে গড়ে ২২ দশমিক ৩১ শতাংশ শুল্ক–কর আদায় করেছিল দেশটি।

চলতি বছরের মে মাসে ভিয়েতনাম ১২২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির রপ্তানি করা পণ্য থেকে মোট শুল্ক আদায় হয়েছে ৩১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। সেই হিসাবে শুল্ক–কর আদায়ের গড় হার প্রায় ২৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের একই সময়ে এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এ ছাড়া গত মে মাসে ভারত ৪৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির পণ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র মোট শুল্ক–কর আদায় করেছে ৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার। এ হিসাবে শুল্ক–কর আদায় হয়েছে গড়ে ২০ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের একই সময়ে ভারতের পোশাকের ওপর থেকে গড়ে ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ শুল্ক–কর আদায় হয়েছিল। 

শুল্ক বাড়ার পরই রপ্তানিতে হোঁচট 

চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি শুল্ক–কর আদায় হয়েছে চীনের পণ্য থেকে। এ সময় চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পণ্যের ওপর ৭০ শতাংশ হারে শুল্ক–কর আদায় হয়েছে। উচ্চ শুল্কের কারণে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি অর্ধেকের বেশি কমেছে। যেমন গত বছরের মে মাসে চীন রপ্তানি করেছিল ১১৬ কোটি ডলারের পণ্য, চলতি বছরের মে মাসে তা কমে ৫৬ কোটি ডলারে নেমেছে।

বাংলাদেশেরও রপ্তানি কমেছে। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২৪ সালে একই সময়ে রপ্তানি করেছিল ৫৭ কোটি ডলারের পোশাক। সেই হিসাবে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৪ শতাংশ। 

শুল্ক–কর বৃদ্ধির পরও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে ১০৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। চলতি বছরের মে মাসে তা ১২৩ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ভিয়েতনামের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ শতাংশ।

এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন করে পাল্টা শুল্ক আরোপ হলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আরও কমে যাবে। কারণ, অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক–কর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক নেওয়ার কথা নয়। এ জন্য দর-কষাকষির মাধ্যমে আমাদের শুল্ক–কর প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছাকাছি নিয়ে আসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পোশাকে গড়ে ২১% শুল্ক আদায়
  • জনসভায় ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা, বরখাস্ত হলেন ৬ সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট
  • আমাদের পরাবাস্তব টাউনের দিনরাত্রির দৃশ্য
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার শনাক্ত
  • ভালো সিনেমার কারণে নাটকে আমাদের দায়িত্ববোধ বেড়েছে: আরশ
  • এগিয়ে চলার প্রত্যয়
  • কাদামাটি: শিকড়ের খোঁজে এক আবেগভরা মঞ্চভ্রমণ
  • ভাঙা দেবী, রহস্যময় হাসি আর বুঁদ হয়ে থাকা এক দুপুর
  • শতাব্দীর বিবর্তনের গল্প বলে লুভর মিউজিয়াম