রাজধানীর তুরাগে উবার চালকের যোগসাজশে ইতালির নাগরিককে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের মামলায় দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন—খোরশেদ আলম ও শাহিন মিয়া।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তুরাগ থানা পুলিশ ওই দুজনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত রোববার ভোরে তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর ইতালি থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। তিনি বিমানবন্দরের সামনে থেকে একটি উবার সার্ভিসের মোটরসাইকেল নিয়ে উত্তরা-পশ্চিম থানাধীন ১৯ নম্বর সেক্টরের প্রবাসী হোস্টেলে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। মোটরসাইকেলের চালক তানিয়াকে হোস্টেলে না নিয়ে তুরাগ ১৫ নম্বর সেক্টরের এক নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনের পাশে নিয়ে ভয় দেখিয়ে পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় তানিয়া তুরাগ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় খোরশেদ আলম ও শাহিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এএসআই’র বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ 

পাবনার চাটমোহরে শাকিল আহমেদ নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে। এ নিয়ে চাটমোহর উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। 

চাটমোহর থানার এএসআই শাকিল আহমেদ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক।

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে অস্ত্রসহ ‘কোপা সামচু’ গ্রেপ্তার

নৌকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো এক জেলের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে সৌদি আরবে থাকা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাসুরা খাতুন কয়েক মাস আগে একটি কাজে থানায় আসেন। সেখানে এএসআই শাকিল আহমেদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। অতিসম্প্রতি মাসুরা খাতুন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চাটমোহর থানার পেছনে চৌধুরীপাড়া মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে প্রতিনিয়ত শাকিল আহমেদের যাতায়াত ছিল। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ায় একটি আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলে থানা থেকে বের হন শাকিল আহমেদ। এরপর থেকে মাসুরা খাতুনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার শাকিল আহমেদের থানায় ফেরার কথা থাকলেও শুক্রবার পর্যন্ত তিনি ফেরেননি। 

এদিকে, মাসুরা খাতুনের শ্বশুর বজলুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পুত্রবধূকে না পেয়ে এবং এএসআই শাকিলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মাসুরা দুই সন্তানের জননী। শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

এ বিষয়ে জানার জন্য এএসআই শাকিলের মোবাইল ফোনে বার বার কল করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আকতার বলেছেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এএসআই শাকিল কেন থানায় উপস্থিত নেই, সে বিষয়ে আগে প্রতিবেদন করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ