Samakal:
2025-04-30@22:51:38 GMT

জানুয়ারিতে সড়কে নিহত ৬০৮ জন

Published: 5th, February 2025 GMT

জানুয়ারিতে সড়কে নিহত ৬০৮ জন

জানুয়ারি মাসে ৬২১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭২ জন নারী ও শিশু ৮৪ জন। এ ছাড়া গত মাসে ২৭১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬৪ জন; যা মোট নিহতের ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১৪৩ জন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে নিহত হয়েছেন ১৯ দশমিক ৬১ জন। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা বেড়েছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত গতির ফলে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারানো। তা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি ও চালকদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পোর্টাল এবং টিভি চ্যানেলের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মাসে ৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রেলপথে ২২ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট নিহতের মধ্যে বাসের যাত্রী ২৮ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৪ জন; ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান, লেগুনার মতো তিন চাকার যানবাহনের যাত্রী ও চালক ৯০ জন ছিলেন।

ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; মহাসড়কে ধীর স্বল্পগতির যানবাহন, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, চাঁদাবাজিসহ দুর্ঘটনার ১০ কারণ টিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। দুর্ঘটনা রোধে এসব অনিয়ম রোধসহ ১০ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ