৩ ইসরায়েলি ও ১৮৩ ফিলিস্তিনি মুক্ত
Published: 8th, February 2025 GMT
যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে পঞ্চম দফায় শনিবার আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। অন্যদিকে কারাগারে থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির মধ্য থেকে ১৮৩ জনকে মুক্ত করেছে ইসরায়েল। মুক্তি পাওয়া তিন ইসরায়েলি হলেন এলি শারাবি (৫২), অর লেভি (৩৪) ও ওহাদ বেন আমি (৫৬)।
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের বহনকারী বাসটি রামাল্লায় পৌঁছলে সেখানে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের স্বাগত জানান। অনেক দিন পর স্বজনকে কাছে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের চোখে ছিল আনন্দাশ্রু।
আলজাজিরা জানায়, গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর-এল বালাহ থেকে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্যরা স্বজনের কাছে বন্দিদের হস্তান্তর করেন। এ সময় হামাসের কয়েক ডজন মুখোশধারী যোদ্ধাকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। তিন বন্দির মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, জিম্মিদের চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে হামাস যে আচরণ করেছে, তা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ শামিল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইসরায়েলের কাছে ৭৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তিতে সই করেছে। চুক্তি মোতাবেক ইসরায়েল ৬৬০ মিলিয়ন ডলারের হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রও পাবে। এ পরিস্থিতিতে তেহরানে হামাসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এ সময় হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়াকেও দেখা যায়।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পশ্চিম তীরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। জেনিনে বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম তীরের তুলকারেম ও তুবাসে ইসরায়েলি হামলা-সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহত বেড়ে ৬২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ৪৮ হাজার ১৮১ জনের লাশ মিললেও বাকিরা ভবনের নিচে চাপা অবস্থায় নিখোঁজ আছেন। আহত ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩৮ জন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫