প্রায় দুই বছর আগে মুক্তি পায় রায়হান রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’। এ ছবিটি দিয়েই বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফরান নিশোর। ছবি হিট, প্রথম সিনেমাতেই আলোচনায় আসেন নিশো। এরপর বছর যায়, নিশোর নতুন কাজ দেখার অপেক্ষা আর ফুরায় না। অবশেষে চলতি বছর শিহাব শাহীনের ‘দাগি’ দিয়ে ফিরছেন তিনি। নিশোর কাছে তাই প্রথম প্রশ্নটা তাঁর ‘লাপাত্তা’ থাকা নিয়েই।
‘আমি তো লুকায়া ছিলাম না, সবার সামনেই ছিলাম। সিনেমা নিয়ে আমার নিজস্ব একটা ভাবনা আছে। পরিকল্পনা যা–ই হোক না কেন, নির্দিষ্ট সময়ে আমি আমার দর্শকদের সামনে আসতে চাই। সবকিছুই যে আগে থেকে তাদের জানিয়ে দিতে হবে, আমি সেটা বিশ্বাস করি না।’ স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বললেন নিশো। জানালেন, ‘দাগি’ ছাড়াও তাঁর আরও কাজ চূড়ান্ত হয়েছে। সেটাও জানাবেন ‘সঠিক সময়ে’।
নিশো বলছিলেন, ‘আমার কাছে সময়ের কোনো অভাব নেই। ক্যারিয়ার শুরুর ২৩-২৪ বছর পর সিনেমায় নাম লেখালাম। সেখানেও তাড়াহুড়া ছিল না। প্রথম সিনেমা আসার পর পরবর্তী সিনেমা কী হবে, সেটার পরিকল্পনা চলছিল। গল্প আসছে, বাজেট মিলছে তো মিলছে না, আরও অনেক গল্প পড়ছি। সেখান থেকে আমার সেরার সেরাটাই বেছে নেওয়া উচিত। সেই জায়গা থেকে একাধিক সিনেমার মধ্যে এটা একটা “দাগি”। এটা এমন না নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলাম, এটা হলো সঠিক সময়ে সঠিক তথ্যটা দর্শকের কাছে পৌঁছানো। এটা অনেক সময় আমি সেট করি, অনেক সময় টিম সেট করে। এ সিনেমাটি যে করছি সেটা অনেক আগে চূড়ান্ত হয়েছিল।’
প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে প্রচুর টিভি নাটকে কাজ করেছেন, গত কয়েক বছরে তাঁকে ওটিটিতে দেখা গেছে ‘রেডরাম’, ‘কাইজার’ বা ‘সিন্ডিকেট’-এর মতো প্রকল্পে। হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নিলে কি মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়? নিশো স্বীকার করলেন, তিনি কাজ মিস করেন।
‘দাগি’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক সময়
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫