গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের বাজারে তিন ভাঁজের স্মার্টফোন ‘মেট এক্সটি’ উন্মুক্ত করে প্রযুক্তিবিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিল হুয়াওয়ে। এত দিন শুধু চীনের বাজারে পাওয়া গেলেও এবার মালয়েশিয়ায় ফোনটি উন্মুক্ত করেছে চীনের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটি। মেট এক্সটি মডেলের ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৬০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১২০ টাকা ধরে)।

হুয়াওয়ের তথ্যমতে, মেট এক্সটির পর্দার আকার ৬ দশমিক ৪ ইঞ্চি হলেও আংশিক ভাঁজ খুলে ৭ দশমিক ৯ ইঞ্চি এবং পুরো ভাঁজ খুলে ১০ দশমিক ২ ইঞ্চির পর্দা ব্যবহার করা যায়। ফলে প্রয়োজনে ট্যাবলেট কম্পিউটার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় ফোনটি।

হারমনি অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোনটির পুরুত্ব ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার। ৫ হাজার ৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটি তারের পাশাপাশি তারহীন বা ওয়্যারলেস চার্জার প্রযুক্তির মাধ্যমে চার্জ করা যায়। তবে ফোনটিতে চাইলেও গুগল প্লে স্টোরসহ গুগলের তৈরি কোনো অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।

১৬ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ফোনটির ধারণক্ষমতা ১ টেরাবাইট। ফোনটির পেছনে ৫০, ১২ ও ১২ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। হুয়াওয়ের তথ্যমতে, শিগগিরই ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও মেক্সিকোতে স্মার্টফোনটির বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ